করোনাভাইরাসের সঙ্গে ঘর কর হতে পারে আগামী দিনে, চিনের 'বাদুড় মহিলা' ঝেংলির নতুন নিদান
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করলেন চিনের বাদুড় মহিলা শি ঝেংলি। আগেই তিনি বলেছিলেন করোনাভাইরাসের নতুন রূপগুলি তৈরি হবে। কারণ এই ভাইরাসটি খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগামী দিনেও বিশ্ববাসীকে সতর্ক থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ঝেংলি বলেছেন, ভাইরাসটির সংক্রমণ অনেকটাই বিস্তৃত । তাই এটি দ্রুতহারে রূপ বদল করছে। তবে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার হল টিকা।
চিনের ভাইরোলজিস্টদের মধ্য অন্যতম শি ঝেংলি। তিনি বাদুড় নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেই কারণে সহকার্মীদের কাছেই বাদুড় মহিলা নামেই পরিছিল ছিলেন। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর গোটা বিশ্বই তাঁকে ব্যাট ওম্যান নামে চিনেছে।
বর্তমানে চিনে নতুন করেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই কারণেই সম্প্রতি চিন প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষের করোনা পরীক্ষা করেছেন। যার সিংহভাগই অভিবাসী শ্রমিক।
তবে ঝেংলি সম্প্রতি বলেছেন করোনাভাইরাস নিয়ে আর আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই। ভাইরাসটির সঙ্গেই সহবস্থান করতে হবে। সেইজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা জরুরি।
ভাইরোলজিস্টদের পরিকল্পনা মতই বর্তমানে চিন প্রশাসান নতুন করে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। দেশে চালু করেছে কয়েক হাজার টেস্টিং সাইট। প্রায় ২৮ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী করোনা পরীক্ষা করেছেন। ২০১৯ সালে চিনের উহান প্রদেশেরই প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল।
দীর্ঘ লকডাউনের পর বেশ কয়েক মাস নতুন করে করোনা সংক্রমণের তথ্য সামনে আসছেন। ডেল্টার কারণেই চিনেও দ্রুততার সঙ্গে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে। নানজিং বর্তমানে করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে নতুন করে নতুন করে বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন ডাকা হয়েছে। চিনের এক ভাইরোলজিস্টের কথায বর্তমান ডেল্টা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে ডেল্টা থেকেই নতুন করে রূপ তৈরি হতেই পারে।
চিনের বিশেষজ্ঞদের কথায় এখনও পর্যন্ত যেসব টিকা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি সবই কার্যকর। কিন্তু যেহারে ভাইরাসটি রূপ বদল করছে তাতে নতুন টিকাও প্রয়োজন হতে পারে। বুস্টার ডোজের ওপরেও জোর দিয়েছেন চিনা গবেষকরা।
অস্ট্রেলিয়া. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ইরানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত ফাইজারের টিকা বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে সরবরাহ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ বিলিয়ন জোড টিকা সরবরাহ করেছে সংস্থাটি।