আইপিএলের ঢাকে কাঠি,জেনে নিন টুর্নামেন্ট নিয়ে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
অবশেষে সরকারিভাবে ঘোষিত হল আইপিএল ২০২০-র দিন। আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে সবুজ সংকেত মিলতেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেল আইপিএলের ১৩ তম মরসুমের। করোনা আবহে এবারের আইপিএলের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। দেখে নেওয়া যাক এবারের আইপিএলের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
- FB
- TW
- Linkdin
১. সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই হতে চলেছে এবারের আইপিএল। গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে পড়ল সিলমোহর। আইপিএল ২০২০ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। শেষ হবে অর্থাৎ ফাইনাল হবে ১০ নভেম্বর। এই প্রথম প্রথা ভেঙে রবিবারের পরিবর্তে সপ্তাহের মাঝে হবে আইপিএল ফাইনাল। ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার দিওয়ালি উইকেন্ডের আগে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের মেগা ফাইনাল।
২. আইপিএল শুরুর ক্ষেত্রের পরিবর্তন হয়েছে ম্যাচ শুরুর সময়ও। স্থানীয় সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই করা হয়েছে এই পরিবর্তন। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টা ৩০মিনিট থেকে শুরু হবে ম্যাচগুলি। এছাড়াও এবারের আইপিএলে ১০টি ডবল হেডার রয়েছে। সেক্ষেত্রে ম্যাচগুলি শুরু হবে বিকেল ৩টে ৩০মিনিট থেকে। অর্থাৎ আগের থেকে দুই ক্ষেত্রেই ৩০ মিনিট করে এগিয়ে আনা হয়েছে সময়।
৩. আইপিএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতেই একটা কৌতুহল তৈরি হয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির যে কত জনের দল নিয়ে মরুদেশে পারি দেওয়া যাবে। বৈঠকে সিদ্ধান্তে হয়েছে সর্বোচ্চ ২৪ জন ক্রিকেটারের স্কোয়াড নিয়ে ২৬ অগস্টের পর আমিরশাহির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে দলগুলো।
৪. করোনা আবহে বিশ্ব জুড়ে ফুটবল লিগগুলিতে কোভিড পরিবর্তের নিয়ম লাগু করা হয়েছিল। সেই নিয়ম থাকছে আইপিএলেও। করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেখে কোভিড পরিবর্ত নিতে পারবে দলগুলো। অর্থাৎ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন দলের কোনও খেলোয়াড় নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে টুর্নামেন্টের বাকি সময়ের জন্য পরিবর্ত খেলোয়াড় দলে নিতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
৫. বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে টুর্নামেন্টের পিরথম দিকের ম্যাচগুলি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। পরিস্থিতি বুধে প্রতিযোগিতার মাঝ থেকে সীমিত সংখ্যক দর্শক স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড। তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে আরব আমিরশাহি সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।
৬. করোনা আবহে প্লেয়ারদের সুরক্ষা নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ বিসিসিআই। তাই ভারতীয় এবং বিদেশি সমস্ত ক্রিকেটারকে চার্টার্ড বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে আয়োজক দেশে। আরব আমিরশাহিতে গিয়েও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
৭. বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই জৈব নিরাপত্তা বলয়ের মতো স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনস প্রোসিডিওর তৈরির কাজ চলছে। যাতে প্লেয়ারদের কোনও রকমের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখা যায়।
৮. স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনস প্রোসিডিওরের অন্তর্ভুক্ত মেডিক্যাল প্রোটোকল তৈরির জন্য প্রথম সারির হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হবে। প্লেয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা তৈরি করতে চাইছে বিসিসিআই।
৯. লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর আইপিএলের চিনা স্পনসর নিয়ে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভোই একটি চিনা কম্পানি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে চিনা স্পনসর সহ অন্যান্য সমস্ত স্পনসরকেই টুর্নামেন্টে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে।
১০. শুধু ছেলেদের আইপিএল নয়, মেয়েদের টুর্নামেন্ট নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। সেখানে ঠিক হয়েছে আইপিএলের শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ ১-১০ নভেম্বর হবে মেয়েদের আইপিএল। যা উইমেন্স টি২০ চ্যালেঞ্জার সিরিজ নামে পরিচিত। মেয়েদের আইপিএলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় খুশি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটাররা।