- Home
- Sports
- Cricket
- মাঠের বাইরে দিয়েছেন পাশে থাকার বার্তা, আর ২২ গজে নেমেই বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন বাবর আজম
মাঠের বাইরে দিয়েছেন পাশে থাকার বার্তা, আর ২২ গজে নেমেই বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন বাবর আজম
- FB
- TW
- Linkdin
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গলে প্রথম টেস্টে কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্য়াট করা উচিৎ তা দেখিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবার আজম। একশো রানের আগেই অবআউট হওয়ার পরিস্থিতিতে বোলারদের নিয়ে। পাকিস্তানের শেষ ১০৬ রান এসেছে নবম এবং দশম উইকেটের জুটিতে। ১১৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌছে দেন বাবর। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২২২ রানের জবাবে বাবরের ব্যাটে ভর করে ২১৮ রান করে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শতরানের পাশাপাশা নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফর্ম্য়াট মিলিয়ে ১০ হাজার রানের গন্ডি চপকে গেলেন বাবর আজম। এই ইনিংসের ফলে বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন পাক অধিনায়ক। শুধু তাই নয় এশিয়ান ব্য়াটসম্য়ান ও পাকিস্তান ক্রিকেটার হিসেবেও একাধিক রেকর্ড গড়লেন বাবর।
বাবর সব ফরম্যাট মিলিয়ে দশ হাজার রান করতে ২২৮ ইনিংস নিলেন। কোহলির এই রেকর্ড করতে লেগেছিল ২৩২ ইনিংস। সার্বিক ভাবে বাবর পঞ্চম দ্রুততম হিসাবে ১০ হাজারের মাইলস্টোন তৈরি করলেন।
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে কম ইনিংস খেলে ১০ হাজার রানের গণ্ডি পার করলেন বাবর। জাভেদ মিঁয়াদাদকে টপকে গেলেন তিনি। ১০ হাজার করতে মিঁয়াদাদ নিয়েছিলেন ২৪৮টি ইনিংস।
এশিয়ান ব্যাটসম্য়ানদের মধ্যেও সবথেকে কম ম্য়াচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করলেন বাবর আজম। সুনীল গাভাসকর (২৪৩ ইনিংস), জাভেজ মিয়াঁদাদ (২৪৮ ইনিংস), সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (২৫৩ ইনিংস), বিরাট কোহলি (২৩২ ইনিংস), বাবর আজম (২২৮ ইনিংস)।
সারা বিশ্বে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি ভিভিয়ান রিচার্ডস। মাত্র ২০৬ ইনিংসে তিনি ১০ হাজার রান করেছিলেন। এরপর হাশিম আমলা (২১৭ ইনিংস), ব্রায়ান লারা (২২০ ইনিংস ), জো রুট (২২২ ইনিংস)। সেই নিরেখে বাবর আজম রয়েছেন পঞ্চম স্থানে।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় বাবরের। দেশের হয়ে ৭৪টি টি-টোয়েন্টি, ৮৯টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৪০টি টেস্ট খেলেছেন বাবর। ৪১তম টেস্ট খেলছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ২৫টি শতরান হয়ে গেল তাঁর। টেস্টে এটি তাঁর সপ্তম শতরান।
সম্প্রতি বিরাট কোহলির খারাপ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট করছিলেন বাবর আজম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্য়াচের আগে সাংবাদিক বৈঠকেও বিরাটের প্রশংসা করেছিলেন ও তার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক। বিরাট কোহলিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবরকে। তারা মাঠে প্রতীদ্বন্দ্বী হলও মাঠের বাইরে একে অপরের শুভাকাঙ্খী তা প্রমাণ হয়ে যায়।