Sourav VS Jay Shah: ২২ গজে দাদা'কে হারিয়ে দিলেন জয় শাহ, বাঁহাতের খেলে এল ৩ উইকেট
শনিবার কলকাতায় ছিল বিসিসিআই (BCCI)-এর বার্ষিক সাধারণ সভা। আর সেই সভার পর, ইডেন গার্ডেন্স সাক্ষী থাকল এর মায়াবি ডিসেম্বরের সন্ধার। এক প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ম্যাচে মুখোমুখি হল বিসিসিআই (BCCI) বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশ এবং বিসিসিআই সেক্রেটারি একাদশ। অর্থাৎ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বনাম জয় শাহ (Jay Shah)। আর এই ম্যাচে কিন্তু প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে শেষ পর্যন্ত ১ রানে হারিয়ে দিলেন জয়। আর দীর্ঘদিন বাদে ফের ব্যাট হাতে ইডেনে দেখা গেল, আরেক প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনকেও (Md. Azharuddin)।
- FB
- TW
- Linkdin
এই খেলা হয় ১৫ ওভারের। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিসিসিআই সেক্রেটারি একাদশের অধিনায়ক জয় শাহ। ৩ উইকেট হারিয়ে তারা ১২৮ রান তোলে।
বোর্ড সভাপতি একাশের হয়ে বোলিং ওপেন করেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনটা কোনওদিন ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে, কেউ হয়তো কোনওদিন ভাবেনি। অরুণ ধুমল ৩৬ রান করে বোল্ড হন এবং জয়দেব শাহ ৪০ রান করে অবসর নেন। জয় শাহ ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
প্রেসিডেন্টস ইলেভেনের রান তাড়াটা খুবই ভাল হয়েছিল। অভিষেক ডালমিয়া ১৩ এবং বিজয় পাটিল ২১ রান করে প্রথম উইকেট জুটিতেই ৫০ রান তুলে দিয়েছিলেন।
তাঁরা আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর দেখা গিয়েছিল তাঁর পরিচিত অফ ড্রাইভ, কাট। স্পিনারদের তুলে দুটি বাপি বাড়ি যাও দেখা গিয়েছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৩৫ রান করে অবসর নেন তিনি।
ইডেনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের। কোনদিই তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি এই মাঠ। দীর্ঘদিন বাদে প্রিয় ইডেনে দেখা গেল, কলার তুলে ব্যাট হাতে তাঁর অলস অহংকার। যদিও জয় শাহের বলে মাত্র ২ রানে এলবিডব্লু হয়ে যান এদিন।
এদিনের চমক হলেন জয় শাহ। ভরপুর আবেগ দিয়ে বাঁহাতি স্পিন বল করেন তিনি। তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের মিডল অর্ডার ভাঙেন তিনিই। আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত না নিলে আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মাঠ ছাড়ার আগে, বোর্ড সভাপতি একাদশের শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন ছিল। সঞ্জয় ভার্মা (অপরাজিত ৮) এবং রিয়াজ রাজাক (অপরাজিত ৫) মাত্র ১৩ রান করতে পারেন। ফলে ১ রানে পরাজিত হয় সৌরভের দল।
ভালমানের ক্রিকেট, ইডেনে আজহার এবং ঘরের ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় - সব মিলিয়ে ডিসেম্বরের বিকালের এই ইভেন্ট যে সুপারহিট, তা বলাই বাহুল্য। আর কেকের উপর চেরির মতো, এর সঙ্গে ছিল অমিতাভ চৌধুরীর ধারাভাষ্য। হাস্যরসের ভরা তাঁর বিশুদ্ধ হিন্দিতে দেওয়া ধারাভাষ্যই কিন্তু, ম্যাচে প্রাণের সঞ্চার করে।