চলছে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাকরণ,পরপর টিকা নিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা
First Published Mar 4, 2021, 10:23 AM IST
দেশে জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকা করণের দ্বিতীয় দফা। স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির যোদ্ধাদের পর, ৬০ বছরের প্রবীণ নাগরিকদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ‘কো-মর্বিডিটি’ থাকলে ৪৫ বছরের বেশি বয়সিরাও টিকা পাবেন। দ্বিতীয় দফায় টিকা পাচ্ছেন একের পর এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বুধবার টিকা নিলেন কপিল দেব ও মদন লাল।

ভারতে প্রথম দফার করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ শুরু হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি থেকে। সোমবার থেকে ভারতে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ। ৬০ বছরের উর্ধ্বে প্রবীণ নাগরিকদের পাশাপাশি ‘কো-মর্বিডিটি’ থাকলে ৪৫ বছরের বেশি বয়সিরাও টিকা পাবেন।

দ্বিতীয় দফায় দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি টিক নিচ্ছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। একের পর এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিচ্ছেন করোনা ভাইরাসের টিকা।

বুধবার দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকা নিলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। ৬২ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার আপাতত কোভিডের প্রথম ডোজ নিলেন।

গতবছরের অক্টোবরে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কপিল দেব। তাকে বেশ কিছুদিন ভর্তি থাকতে হয় হাসপাতালে। তাঁর বুকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়। দেশের হয়ে ১৩১টি টেস্ট ও ২২৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেন তিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই টুইট করে কপিলের টিকাকরণের ছবি শেয়ার করে।

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অপর সদস্য মদন লাল মঙ্গলবার করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন। তিনি টিকা নিয়েই টুইট করে এই খবর জানান। টিকা নিয়ে তিনি গর্বিত বলে ওমন্তব্য করেন মদন লাল।

মঙ্গলবারই টিকা নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। আহমেদাবাদে ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেউ ছবিও শেয়ার করেছেন বিরাটদের হেড স্যার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে শাস্ত্রী লেখেন,'করোনা ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিলাম। সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানাই এই প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আহমেদাবাদ অ্যাপোলোতে কান্তাবেন ও তাঁর সহযোগীদের পেশাদারিত্বে রীতিমতো প্রভাবিত আমি।'

মুম্বইতে ভারতের আরও এক প্রাক্তন ক্রিকেটার সন্দীপ পাটিলও ভ্যাক্সিন নেন। ৬৪ বছরের পাটিল কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন নেন বলে জানা যাচ্ছে। ভ্যাক্সিন নেওয়ার পরে তিনিও টীকাকরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।