বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ফাইনাল,ব্রিটিশদের বিশ্বজয়ের বর্ষপূর্তি
- FB
- TW
- Linkdin
ফাইনালে প্রথম ব্যাট করে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন হেনরি নিকোলস। এছাড়া ৪৭ রান করেছিলেন টম ল্যাথাম ও ৩০ রান করেছিলেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
ফাইনালে দুরন্ত বোলিং করেছিলেন ইংল্যান্ড বোলাররা। তিনটি করে উইকেট পেয়েছিলেন লিয়াম প্লাংকিট ও ক্রিস ওকস। একটি করে উইকেট পেয়েছিলেন মার্ক উড ও জোফ্রা আর্চার।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। শেষে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস ও ৫৯ রান করেন জস বাটলার।
স্টোকস ও বাটলারের ইনিংসের সৌজন্যেও ২৪১ রানের গণ্ডি টাপকাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্রিটিশদের ইনিংসও শেষ হয় ২৪১ রানে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও জিমি নিশাম। একটি করে উইকেট পান ম্যাট হেনরি ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
স্কোর টাই হওয়ায় সুপার ওভারে গড়ায় খেলা। ফের ব্যাট হাতে নামেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। নির্ধারিত ১ ওভারে ১৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। স্টোকসের সংগ্রহ ৮ ও বাটলারের সমগ্রহ ৭।
সুপার ওভারের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৫ রানেই শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। নিশাম করেন ১৩ রান ও মার্টিন গুপটিল করেন ১ রান। শেষ বলে গুপটিল দু রানের জন্য দৌড়ালেও রান আউট হয়ে যান তিনি
সুপার ওভারও টাই হওয়ায় বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম এক নয়া নিয়মে ঠিক হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আইসিসির নিয়ম অনুসারে ম্যাচে অতিরিক্ত বাউন্ডারি মারার নিরিখে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
ম্যাচ জয়ের পর ইংল্যান্ড প্লেয়ারদের সেলিব্রেশন ছিল দেখার মত। বিশ্বজয়ের আনন্দে উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল সকলই। জীবনের সেরা আনন্দ উপভোগ করেছিল ইংল্যান্ডের প্লেয়ার থেকে শুরু করে গ্যালারি ভর্তি দর্শক ও গোটা দেশ।
বিশ্বকাপ জয়ের বর্ষপূর্তিতে ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গান বলেন,'গত বছর ওই দিনটা স্বপ্ন পূরণের দিন ছিল। ম্যাচে প্রচন্ড টেনশনে ছিলাম আমরা। জিমি নিশামের স্লোয়ার বলে বেন মেরেছিল অনেক উঁচুতে, আসলে ও যতটা দূরে মারতে চেয়েছিল ঠিক ততটা দূরে যায়নি! ওই এক মিনিটের জন্য আমার মনে হয়েছিল সব শেষ, সব শেষ! বেন আউট। আমাদের জেতার জন্য ১৫ রান তখনও দরকার। যদিও বেন স্টোকসের ওই শটটা বাউন্ডারি লাইনে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ধরা পড়েছিল। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে বোল্টের পা ছুঁয়ে যাওয়ায় ছক্কা হয়। আউট হননি স্টোকস। পরে ম্যাচ টাই হওয়ার পরেও সুপার ওভারে টাই। আর বাউন্ডারি বেসি মারার সুবাদে দেশের মাটিতেই প্রথম বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। দেশবসীর বিশ্ব জয়ের স্বপ্নপূরণ করতে পেরে আমরাও খুশি হয়েছিলাম।'
বিশ্ব জয়ের বর্ষপূর্তিতে সকাল থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন ইংল্যান্ড প্লেয়াররা। আইসিসির তরফ থেকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে ব্রিটিশ লায়ন্সদের। শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও। সকলের মন্তব্য একটাই, জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন।