- Home
- Sports
- Cricket
- টি২০ বিশ্বজয়ের ১৪ বছর - ছবিতে ছবিতে ফিরে দেখুন, ২০০৭ সালের সেই দিনের উজ্জ্বলতম মুহূর্তগুলি
টি২০ বিশ্বজয়ের ১৪ বছর - ছবিতে ছবিতে ফিরে দেখুন, ২০০৭ সালের সেই দিনের উজ্জ্বলতম মুহূর্তগুলি
২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রথম আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত (Team India) ও পাকিস্তান (Pakistan Cricket Team)। একদিকে ছিল সচিন-সৌরভ-রাহুলদের ছাড়া একেবারে তরুণ ভারতীয় দল। মিসবা-উল-হক, শাহিদ আফ্রিদি সম্বৃদ্ধ শক্তিশালী পাকিস্তান। বাকিটা ইতিহাস। তারপর ১৪ বছর কেটে গিয়েছে। ফিরে দেখা যাক, ভারতীয় ক্রিকেটের সেই অবিস্মরণীয় দিনের কিছু উজ্জ্বলতম মুহূর্ত -
- FB
- TW
- Linkdin
সেই প্রথম টি২০ ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল ক্রিকেট বিশ্বের। তখনও আইপিএল (IPL) আসেনি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু দেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে চালু হয়েছিল ২০ ওভারের খেলা, তবে গোটা বিশ্বের টি২০ জ্বরের মহামারি শুরু হয়েছিল ২০০৭ বিশ্বকাপেই।
যে কোনও খেলাতেই ভারত বনাম পাকিস্তান মানেই তুমুল উত্তেজনা। ক্রিকেট মাঠে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো কিংবদন্তি। আর তা যদি হয় বিশ্বকাপের ফাইনাল, তাহলে তো কথাই নেই। দুই দেশের সমর্থকরাই ভিড় করেছিলেন জোহানেসবার্গের গ্যালারিতে।
টসে জিতেছিলেন তরুণ অধিনায়ক এমএস ধোনি (MS Dhoni)। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে ওপেনার ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan) এবং তিন নম্বরে নামা রবিন উথাপ্পা (Rabin Uthappa) আউট হয়ে গিয়েছিলেন।
তবে ক্রিজে ছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। ৫৪ বলে ৭৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। শেষের দিকে রোহিত শর্মাও (Rohit Sharma) ১৬ বলে অপরাজিত ৩০ রানের বিস্ফোরণ ইনিংস খেলেন। ভারত তোলে ১৫৭-তে সহায়তা করেছিল।
স্কোরটা ছিল লড়াই করার মতো। তাড়া করে পাকিস্তান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। দারুণ শুরু করেছিলেন আরপি সিং (RP Singh)। তারপর ব্যাটন তুলে নেন ইরফান পাঠান (Irfan Pathan)।
তবে, পাকিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মিডল অর্ডারে নামা মিসবাহ-উল-হক (Misbah-Ul-Hoq)। হরভজন সিং (Harbhajan Singh)-এর এক ওভারে তো তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন। শেষ ওভার পর্যন্ত তিনিই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন খেলাটি।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ছিল একটি উইকেট। সেই চুড়ান্ত চাপের অবস্থায়, সবাইকে চমকে দিয়ে এমএস বল তুলে দিয়েছিলেন অনভিজ্ঞ যোগিন্দর শর্মার (Johinder Sharma) হাতে।
সিদ্ধান্তটি কতটা খারাপ সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল বলে। যোগিন্দরের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরেছিলেন মিসবা। ফলে ৪ বলে রান দরকার ছিল ৬। পাকিস্তান প্রায় জেতার মুখে চলে গিয়েছিল।
কিন্তু, পরের বলটি বুঝতে বড় ভুল করে ফেলেছিলেন তিনি। যোগিন্দরের স্লোয়ার ডেলিভারি স্কুপ করেছিলেন মিসবা। বলটি সোজা গিয়ে জমা হয়েছিল শ্রীসন্থের (S Shrisanth) হাতে।
পাঁচ রানে জিতে গিয়েছিল তরুণ আনকোরা ভারতীয় দল। দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যআন্সের জোরে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন ইরফান পাঠান। ভারত জিতেছিল প্রথম আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সেই সময় ওই কাপ জয় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৩ সালের পর সেটাই ছিল ক্রিকেটের যে কোনও ফর্ম্যাটে ভারতীয় দলের জেতা প্রথম বিশ্বকাপ। অনেকেই বলেন সেই বিশ্বকাপ জয়ই, ৪ বছর পর দেশের মাটিতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জেতার পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
আর এই টুর্নামেন্টই সৌরভ-রাহুলদের জমানা থেকে ভারতীয় দলকে এনে ফেলেছিল ধোনিদের জমানায়। ২০০৭ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর, যা পরবর্তী বিশ্বকাপের দল তৈরিতেও সহায়তা করেছিল। জন্ম হয়েছিল এক তরুণ সাহসী ভারতীয় দলের। আর ভারত পেয়েছিল সৌরভ জমানার পরবর্তী অধিনায়ক, এমএস ধোনিকে।