- Home
- Sports
- Cricket
- ছদ্মবেশে সচিনের বাড়ি কী করতে গিয়েছিলেন এই সুন্দরী, হাতেনাতে পড়েছিলেন ধরা, জন্মদিনে জানুন অজানা কাহিনি
ছদ্মবেশে সচিনের বাড়ি কী করতে গিয়েছিলেন এই সুন্দরী, হাতেনাতে পড়েছিলেন ধরা, জন্মদিনে জানুন অজানা কাহিনি
২৪ এপ্রিল নিজের ৪৯ তম জন্মদিন পালন করছেন সচিন তেন্ডুলকর। সকাল থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন ক্রিকেট ঈশ্বর। প্রাক্তন-বর্তমান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিশ্ব জুড়ে তার ভক্তরা সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টারকে। এই বিশেষ দিনে আপনাদের সচিন তেন্ডুলকরের জীবনের এমন এক ঘটনার কথা জানাব যা আপনাদের সকলেরই অজানা।
| Published : Apr 24 2022, 01:14 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
![](https://static-cf.akamaized.net/images/01e92tk382ngmbh0thc726b960/gettyimages-461432906-jpg.jpg?impolicy=All_policy&im=Resize=(690))
৯০-এর দশকে ভারতীয় ক্রিকেটে পা রাখনে সচিন তেন্ডুলকর, তারপর মাস্টার ব্লাস্টার হতে খুব বেশি সময় ব্যয় করেননি তিনি। সেই সময়তেই সচিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর স্ত্রী অঞ্জলির।১৯৯০ সালে এক বিমান বন্দরে প্রথম দেখেন অঞ্জলিকে, আর প্রথম দেখাতেই প্রেম। এক সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি জানিয়েছিলেন অঞ্জলি তেন্ডুলকর স্বয়ং ।
অঞ্জলি জানান, তিনি তাঁর মাকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার সময়তেই তাঁর চোখ পড়ে সচিন তেন্ডুলকরের ওপর। সচিন তখন ইংল্যান্ড সফর সেরে দেশে ফিরছিলেন। সেই সময় অঞ্জলির সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধুও। তিনিই অঞ্জলিকে বলেছিলেন, এই ভারতীয় ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের মাঠে সেঞ্চুরি করেছেন।
কথাটা শোনা মাত্রই সচিনের অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য তাঁর পিছনে ছুটেছিলেন অঞ্জলি। সচিনের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দে অঞ্জলি সেদিন তাঁর মাকে রিসিভ করতেই ভুলে গেছিলেন। এরপর সেই বন্ধুর সাহায্যে সচিনের ফোন নম্বর যোগার করতে সক্ষম হন অঞ্জলি। ফোনে কথা শুরু হয় সচিন-অঞ্জলির মধ্যে, আর সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের সূচনা।
শোনা যায় সচিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য ব্যকুল হয়েছিলেন অঞ্জলি। সচিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য সাংবাদিক সেজে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন অঞ্জলি। বাড়িতে গিয়ে যখন সচিনকে তিনি চকলেট দেন, তখন তা দেখে ফেলেন সচিনের মা। তখন তিনি সরাসরি অঞ্জলিকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি কি সত্যিই সাংবাদিক? তখন নিজের পরিচয় জানিয়েছিলেন অঞ্জলি।
প্রেম চলাকালীন তাঁরা দুজনে মিলে একটা সিনেমা দেখেছিলেন, যার নাম 'রোজা'। আসলে সেই সময় সচিনের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গেছিল যে, তাঁর একা বাড়ি থেকে বেড়ানোটা অসম্ভব ছিল। অঞ্জলির ইচ্ছাপূরণ করতে আত্মগোপন করে সিনেমা দেখতে আস্তে হয়েছিল সচিনকে। কিন্তু ইন্টারভেলের সময় আশেপাশের দর্শকরা সচিনকে চিনে ফেলে, যার ফলে মাঝপথেই প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে।
৫ বছর ধরে চলে সচিন অঞ্জলির প্রেম। আসলে সচিন ছিলেন খুবই লাজুক প্রকৃতির, যার ফলে কিছুতেই বাড়িতে বিয়ের কথা বলতে পারছিলেন না। তখন তিনি অঞ্জলিকে সেই দায়িত্ব দেন। আগে অঞ্জলিকেই তাঁর পরিবারের সামনে বিয়ের কথা বলতে হয়েছিল। তারপর তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার দুই পরিবার থেকে মেনে নেয়।
১৯৯৪ সালে আংটি বদল পর্ব শেষ হয় নিউজিল্যান্ডে, তার এক বছর বাদে ১৯৯৫ সালের ২৫ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা, বিয়ের আসর বসেছিল মুম্বইতে। সেই সময় তাঁদের বিয়ে যাতে সরাসরি সম্প্রসারণ করা হয় তার জন্য একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সচিনের পরিবারকে ৪০ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল।কিন্তু বিয়ের মতো এমন পবিত্র বন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক চুক্তি মেনে নিতে পারেননি তেন্ডুলকর পরিবার।
তারপর দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ারে সবসময়ই খারাপ-ভালো সবমসয় সচিনের পাশে থেকেছেন অঞ্জলি। তাদের সম্পর্কে কোনও দিন কোনও সমস্যা আসেনি। তাদের একটি পুত্র সন্তান অর্জুন তেন্ডুলকর ও একটি কন্য়া সন্তান সারা তেন্ডুলর। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর বান্দ্রার বাড়িতে বেশিরভাগ সময় পরিবারের সঙ্গে কাটান সচিন তেন্ডুলকর।