IPL 2022 Final- আইপিএল শেষ হতেই টাকার বৃষ্টি, দেখুন কে পেল কত টাকা
- FB
- TW
- Linkdin
অভিষেক মরসুমে আইপএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়েছে গুজরাট টাইটানস। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজ মানিতে গতবছরের তুলনায় কোনও পরিবর্তন করেনি বিসিসিআই। গুজরাট টাইটানস পেয়েছে ট্রফি ছাড়া ২০ কোটি টাকা পুরস্কার মূল্য।
১৪ বছর পর ফাইনালে উঠলৈও ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। গুজরাট টাইটানসের কাছে ৭ উইকেটে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় রাজস্থানকে। রানার্সআপ দল হিসেবে ১৩ কোটি টারা পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস দল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং লখনউ সুপার জায়েন্টস আইপিএল ২০২২-এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় রানার্সআপ দল হয়েছে। গতবছর তৃতীয় ও চতুর্থ দলকে দেওয়া হয়েছিল ৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা করে। এবার যদিও সেই পরিমাণ কমানো হয়েছে। আরসিবিকে প্রাইজমানি হিসেবে ৭ কোটি টাকা ও এলএসজি পেয়েছে ৬.৫ কোটি টাকা।
এবারের টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের তারকা ক্রিকেটার জস বাটলার। সর্বোচ্চ রান স্কোরার হিসেবে অরেঞ্জ ক্যাপ এবং ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। মরসুমে ৪টি সেঞ্চুরি সহ মোট ৮৬৩ রান করছেন জস বাটলার। যা আইপিএলের এক মরসুমের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
প্রতিযোগিতায় পুরো মরসুমে সবথেকে বেশি ছয় মারারা পুরস্কার পেয়েছেন জস বাটলার। ৪৫টি ছয় মেরেছেন তিনি। ৮৩টি চার মেরে মোস্ট ফোর অফ দ্য সিজন পুরস্কারও জস বাটলারের ঝুলিতে। পুরো মরসুম জুড়ে ড্রিম ইলেভেন পয়েন্টের নিরিখে গেম চেঞ্জার অ্য়াওয়ার্ড পেয়েছেন জস বাটলার। পাওয়ার প্লেয়ার অফ জ্য সিজন অ্য়াওয়ার্ডটিও পেয়ছেন জস বাটলার। মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অফ দ্য সিজন জস বাটলার। প্রতিটি পুরস্কারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইককে শিকার করে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন যপজবেন্দ্র চাহল। ২৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও স্পিনারের নেওয়া সবথেকে বেশি উইকেটয। ১০ লক্ষ টাকা নগদের পাশাপাশি ট্রফি পান যুজবেন্দ্র চাহল।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তরুণ পেসাস উমরান মালিক, যিনি তার ফাস্ট বোলিং দিয়ে সকলের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন। মরসুমে ২২টি উইকেট নিয়ে বেস্ট ইমার্জিং প্লেয়ার হয়েছেন উমরান মালিক। ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক এই মরসুমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। যার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জায়গা পেয়েছেন তিনি। এর সাথে দীনেশকে সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য সিজনের খেতাব দেওয়া হয়েছে এবং তিনি পেয়েছেন চকচকে টাটা পাঞ্চ গাড়ি। মরসুমে ৩৩০ রান করেঠেন ১৮৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে।