প্রথম আইপিএল অধিনায়কদের বর্তমান অবস্থান, ১৫ তম মরসুম শুরুর আগে জেনে নিন আপনিও
- FB
- TW
- Linkdin
শেন ওয়ার্ন (রাজস্থান রয়ালস)
শেন ওয়ার্ন হলেন আইপিএলের প্রথম বিজেতা অধিনায়ক। একদিকে রাজস্থান তার অসাধারণ নেতৃত্বে ভর করে প্রথম আইপিএল জেতে। তার সাথে সাথে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন ১৯টি উইকেট। একটি আনকোরা দল নিয়ে কীভাবে চ্যাম্পিয়ন করা যায় তা ক্রিকেট বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন লে স্পিনের জাদুকর। প্রথম আইপিএলের সব অধিনায়ক জীবত থাকলেও একমাত্র শেন ওয়ার্ন প্রয়াত হয়েছেন। ২০২২ সালের ৪ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি।
সচিন তেন্ডুলকর (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকর নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা যায় আইপিএলে। প্রথম চারটি ম্যাচে টানা হারার পর শেষদিকে তার দলকে পয়েন্ট টেবিলের ওপরে তুলতে না পারায় নিরাশ হন। বর্তমানে তিনি ক্রিকেটের বাইরে তার ব্যবসার সাথে জড়িত এবং একজন ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার, বিশ্লেষক হিসাবেও কাজ করে থাকেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টরও তিনি।
সৌরভ গাঙ্গোপাধ্যায় (কলকাতা নাইট রাইডার্স)
ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় আইপিএলে পুরোপুরি ব্যর্থ হন অধিনায়ক হিসেবে। প্রথম দুটি ম্যাচে জয়লাভ করলেও শেষ দিকে খুবই খারাপ ভাবে হেরেছিল তার নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার অধিনায়কত্বে সেবার মাত্র ছয়টি ম্যাচে জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বর্তমানে তিনি বিসিসিআই এর সভাপতি পদে রয়েছেন। দায়িত্বের সঙ্গে সামলাচ্ছেন বোর্ডের দায়িত্ব।
ভিভিএস লক্ষ্মণ (ডেকান চার্জার্স)
হায়দ্রাবাদের ফ্রাঞ্চাইজির অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ভিভিএস লক্ষণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অধিনায়ক হিসেবে পুরোপুরি ব্যর্থ হন, ১৪টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছিল লক্ষ্মণের দল। তারপর একজন ক্রিকেট ভাষ্যকার, বিশ্লেষক এবং সানরাইজ হায়দ্রাবাদ দলের মেন্টরের ভূমিকায় কাজ করেছেন লক্ষ্ণণ। বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বে রয়েছেন।
রাহুল দ্রাবিড় (রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর)
আইপিএলের প্রথম মরশুমে রাহুল দ্রাবিড় নেতৃত্বে একেবারেই ভাল খেলতে পারেনি ব্যাঙ্গালোর। ১৪টি খেলার মধ্যে মাত্র ৪টিতেই জিততে সক্ষম হন তিনি এবং পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে জায়গা করে। তারপর তিনি ক্রিকেট ভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন। এনসিএ দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচিং করিয়েছেন। করেছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও। বর্তমানে রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় সিনিয়র দলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন। .........................
বীরেন্দ্র সেওয়াগ (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস)
প্রথম মরশুমে বীরেন্দ্র সেওয়াগ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন এবং অধিনায়ক হিসেবে শেষ চারে তার দলকে নিয়ে যান। যদিও নিন্দুকেরা বলে থাকেন যে তার দল এতটাই ভালো ছিল যে আলাদা করে অধিনায়ক-কে কৃতিত্ব দেওয়ার দরকার পড়ে না। বর্তমানে তিনি একজন ক্রিকেট ভাষ্যকার এবং বিশ্লেষক। এছাড়াও সেহবাগ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় রয়েছে যা তিনি পরিচালনা করেন।
যুবরাজ সিং (কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব)
২০০৮ সালে যুবরাজ সিং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। একজন প্রভাবশালী অধিনায়ক এর মতোই সামনে থেকে তার দলকে নেতৃত্ব দিয়ে তৃতীয় স্থানে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি অবসর নিয়েছেন এবং এখন কয়েকটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত এবং বিভিন্ন দাতব্য অনুষ্ঠানের সাথেও জড়িত। খুলেছেন কয়েকটি ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্রও।
মহেন্দ্র সিং ধোনি (চেন্নাই সুপার কিংস)
একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এমএস ধোনি আইপিএলের প্রথম মরসুম থেকে এখনও পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলে যাচ্ছেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালেও দলকে চতুর্থবারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন। তবে ২০২২-ই হয়তো ধোনির শেষ মরসুম হতে চলেছে বলে জল্পনা। দলকে পঞ্চমবার ট্রফি দিতে চান মাহি।