- Home
- Sports
- Cricket
- পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হারের 'পোস্টমর্টেম', জেনে নিন টিম ইন্ডিয়ার পরাজয়ের আসল কারণগুলি
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হারের 'পোস্টমর্টেম', জেনে নিন টিম ইন্ডিয়ার পরাজয়ের আসল কারণগুলি
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জিতলেও সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে হার ভারতের (India va Pakistan)। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। রান তাড়া করতে নেমে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে জয় পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে ৭১ রানের ম্যাত উইনিং ইনিংস খেলেন মহম্মদ রিজওয়ান। সঙ্গে ৪২ রানের দুরন্ত ব্যাটিং মহম্মদ নাওয়াজের। ম্য়াচের মোক্ষম সময়ে আসিফ আলির ক্যাচ ফেলে ভিলেন হয়ে উঠেছে অর্শদীপ সিং। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু শুধু অর্শদীপ লিং নয়, ভারতের হারের পেছনে আরও একাধিক কারণ (Reason) রয়েছে।
| Published : Sep 05 2022, 12:50 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
টস হার-
দুবাইয়ের উইকেটে টস একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ টস জিতে সকলেই প্রথমে বোলিং করা পছন্দ করেন। কারণ প্রথমে সতেজ উইকেটে পেসার কিছুটা সাহায্য পায়। এছাড়া পরের দিকে ডিউ ফ্যাক্টরের জন্য ব্যাটসম্যানদের কাছে রান করা সহজ হয়ে ওঠে। সেখানে রোহিত শর্মা টস হেরে গিয়ে শুরুতই একটি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন।
রোহিত ও রাহুলের সেট হয়ে উইকেট দিয়ে আসা-
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হারের প্রধান কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভালো শুরু করেও সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসা দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুলের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওপেন করকে নেমে ঝোড়ো শুরু করেছিলেন দুজনে। ৫ ওভারের মধ্যে ৫০ রানের পার্টনারশিপও করেছিলেন। কিন্তু তারপর বিগ হিট করতে গিয়ে আউট হন রোহিত শর্মা। তারপরও একটু সময় না নিয়ে ফের বিগ হিট করতে গিয়ে আউট হন কেএল রাহুল। দুজনেই করেন ২৮ রান।
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা-
ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হারের অন্যতম কারণ। বিরাট কোহলি একদিক থেকে দাঁড়িয়ে থাকলেও সূর্যকুমা যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্থ কেউই রান পাননি। বিরাট কোহলি ৬০ রানের ইনিংস না খেললে আরও শোচনীয় পরাজয়ের মুখ দেখতে হত ভারতকে।
শেষের দিকের ওভারে বড় রান না তুলতে পারা-
ম্যাচের ১০ ওভার পর্যন্ত ভালো রান রেট ছিল ভারতের। কিন্তু তারপর বিরাট কোহলি একদিক থেকে দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরদিকে মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কেউই রান পাননি। যারফলে ১১ থেকে ১৭ নম্বর ওভার পর্যন্ত সেভাবে রান ওঠেনি। শেষের দিকে বিরাট কোহলি ক্রিজে থাকলেও খুব বেশি রান করতে পারেননি।
বোলারদের ব্যর্থতা-
ভারতীয় দলের বোলিং লাইনআপের ব্যর্থতা এই ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ। এই ম্যাচে অর্শদীপ সিং ও রবি বিষ্ণোই ছাড়া আর কোনও ভারতীয় বোলার ৭-এর কাছাকাছি ইকোনমি রেটে বল করতে পারেননি। বাকিরা সকলেই ১০-এর উপর ইকোনমি রেটে বোলিং করেছেন। হার্দিক চার ওভারে ৪৪ রান দেন। চহালের চার ওভারে ওঠে ৪৩ রান। ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে দেন ৪০ রান।
মহম্মদ রিজওয়ানকে আউট করতে ব্যর্থতা-
মহম্মদ রিজওয়ান গত বছর টি২০ বিশ্বকাপ থেকেই থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে অনবদ্য ইনিংস খেলছেন। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং করেছিলেন। আর সুপার ফোরের ম্যাচে তার ৭১ রানের ইনিংস দলের জয়ের পথ মসৃণ করে। ভারতীয় বোলারদের অনায়াসে খেলেছেন তিনি।
অর্শদীপ সিংয়ের ক্যাচ মিস-
ম্যাচের হাড্ডাহাড্ডি পরিস্থিতিতে আসিফ আলির সোজা ক্যাচ ফেলে দেন অর্শদীপ। যা সেই মুহূর্তে ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। সেই সময়ও ম্যাচ জয়ের জন্য ১৬ বলে ৩১ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে আসিফ আলি ৮ বলে ১৬ রান করেন।
রোহিত শর্মার ভুল-
রোহিত শর্মার ভুল ছিল যে, তিনি যখন জানতেন হার্দিক পাণ্ডিয়া সহ তার কাছে মাত্র ৫ জন বোলার আছে, তখন তিনি দীপক হুডাকে অন্তত এক বা দুই ওভার বল দিতে পারতেন। সব বোলারই যেখানে অনেক বেশি রান দিচ্ছিলেন, তখন অন্তত দীপক হুডাকে বোল্ড করা যেত।