- Home
- Religion
- Spritiual
- সুইডেনের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জমজমাট দুর্গাপুজো, দেখুন আনন্দ উৎসবের টুকরো টুকরো মুহুর্তের কোলাজ
সুইডেনের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জমজমাট দুর্গাপুজো, দেখুন আনন্দ উৎসবের টুকরো টুকরো মুহুর্তের কোলাজ
- FB
- TW
- Linkdin
২০১৭ থেকে হইহই করে হেলসিংবর্গ এর বাসিন্দারা দুর্গা পুজো করে আসছেন। দক্ষিণ সুইডেনের হেলসিংবর্গে বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির পুজো এবার পা দিল ৬ বছরে। এবারের অন্যতম আকর্ষণ থিম পুজো, এইবছরের ভাবনা ছিল- ‘আত্মজা’। নারীশক্তির ক্ষমতায়নের প্রতীক ছিল সাজে, পুজোর আয়োজনে।
এইবছর প্রথমবার বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটি অফ সাউথ সুইডেন এর পুজো হল তিথি মেনে। বিগত সফরগুলিতে ছুটির দিন বেছে পুজো করা হতো শনিবার ও রবিবার। এবার পুজো ৩ দিন ব্যাপি পালন করা হল। এবার তিথি অনুযায়ী – সপ্তমীর পুজো সপ্তমীতে, অষ্টমীর পুজো অষ্টমীতে, সন্ধ্যেবেলায় সন্ধি পুজো। ছিল চন্ডীপাঠের বিশেষ আয়োজন। ২রা অক্টোবর থেকে ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত চলল পুজোর উদযাপন।
সাউথ সুইডেন বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির আয়োজকরা প্রবাসে সকলে মিলে এই পুজোর আয়োজন করে। এই দূরপ্রান্তরের পুজোর জোগাড় করা বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। প্রবাসে মূর্তি প্রতি বছর আনানো সম্ভব হয় না, তাই একই মূর্তিতে মায়ের আরাধনা হয়ে এসেছে বিগত বছরগুলোতে।
প্রতিবছর অত্যন্ত সুব্যবস্থায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়ে মায়ের মূর্তি পরের বছরের জন্য। সাউথ সুইডেনে অক্টোবর মাসে বেশ ঠাণ্ডা, সেই জন্যে খোলা মাঠে পুজো করা সম্ভব হয় না এখানে, কমিউনিটি হল ভাড়া করে দুর্গা মায়ের পুজো সম্পন্ন করতে হয়।
সকলে মিলে পুজোর জোগাড় করা, অতিথি ও দর্শকদের আপ্যায়ন, ভোগ রান্না, কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বড় এবং ছোট সদস্যদের নিয়েই হয়ে আবৃত্তি, গান, নাচ আর নাটকের অনুষ্ঠান।
সন্ধ্যাগুলোতে সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিতে প্রস্তুতি চলে প্রায় মাস খানেক ধরে। সঙ্গে থাকে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা যেমন ধুনুচি নাচ, মোমবাতি জ্বালানো, সেরা জুটি ইত্যাদি।
'বারে বারে মা আবার এসো ফিরে', এই বার্তা মনে রেখে প্রতি বছর খুব জাঁকজমক, নাচে গানে বিসর্জনের আগে দেবী বরণ ও সিঁদুর খেলার অনুষ্ঠান করে মাকে বিজয়া জানানো হয়। এ কদিন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে কাজ ভুলে পুজোয় মেতে ওঠেন সাউথ সুইডেনের প্রবাসী বাঙালিরা। আশেপাশের শহরগুলি থেকে বাঙালিরা এখানে পুজো দেখতে আসেন।
ভেদাভেদ ভুলে এই মিলন উৎসবে দু’পার বাংলার বাঙালীদের সঙ্গে যোগ দেন বেশ কিছু অবাঙ্গালি পরিবারও। এই দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মানুষ, সুইডেনের বাসিন্দা ও বিদেশীদের উপস্থিতি উৎসবের এই সেরা প্রাঙ্গনকে যেন আরও আলোকময় করে তোলে।