- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- বলিউডের দুই সিনিয়ার সলমন-অক্ষয়ের সাবধানী উপেক্ষা, সুকেশের জালে জ্যাকলিনের আত্মসমর্পণ যেন নিয়তি
বলিউডের দুই সিনিয়ার সলমন-অক্ষয়ের সাবধানী উপেক্ষা, সুকেশের জালে জ্যাকলিনের আত্মসমর্পণ যেন নিয়তি
- FB
- TW
- Linkdin
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এবং সুকেশ চন্দ্রশেখরের কথা ইতিমধ্যেই জানে গোটা নেট দুনিয়া। সুকেশকে স্বপ্নের পুরুষ বলা থেকে শুরু করে দামি দামি উপহার নেওয়া কিছুই বিরত ছিল না অভিনেত্রীর। দামি গাড়ি এবং অন্যান্য সম্পত্তির লোভে মানুষ ঠিক কতটা বশীকরণ হতে পারে তার হয়ত কিছুটা আন্দাজ জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের কাহিনিতে জানতে পারবেন।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বলিউডের দুই অন্যতম আইকন অর্থাৎ সলমন খান এবং অক্ষয় কুমার উভয়েই অভিনেত্রীকে সুকেশের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলে কিন্তু সেই উপদেশ ফলপ্রসূ হয়নি।
অনুরাগীরা অনেকেই হয়তো জানেন, সলমন এবং জ্যাকলিন খুব ভালো বন্ধু। ‘কিক’, ‘রেস ৩’ ছবিতে জ্যাকিকে নেওয়া থেকে অভিনেতার ফার্ম হাউসে দু’জনের একসঙ্গে সময় কাটানো, এসব কিছুই অজানা নয় নেটপাড়ায়।
অপরদিকে অক্ষয়ও জ্যাকির বেশ কাছের বন্ধু। দু’জনে ‘হাউসফুল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি, ‘ব্রাদার্স’, ‘বচ্চন পাণ্ডে’তে একসঙ্গে কাজ করেছেন। সেই থেকেই বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যান দু’জনে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সলমন এবং অক্ষয় দু’জনেই নাকি জ্যাকলিনকে সুকেশের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তবুও, সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ অক্ষয় কুমার এবং সলমন খানকে সুকেশের সাথে তার বাগদানের কথা বলেছিলেন, যিনি নিজেকে একজন "ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ" হিসাবে পরিচয় দেন। তবে তারা অভিনেত্রীকে তার থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছিলেন। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার মিডিয়ায় উদ্ধৃত করেছেন যে, "তার সহ-অভিনেতারা তাকে সুকেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তবুও তিনি তার সাথে দেখা চালিয়ে যান এবং অটোমোবাইল এবং খাঁটি জাতের কুকুরের মতো দামী উপহার গ্রহণ করেন।"
দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার প্রধান রবীন্দ্র যাদবের মতে, সুকেশ এমনকি অভিনেতার ম্যানেজার প্রশান্তকে একটি ডুকাটি বাইকও দিয়েছিলেন তাকে জয় করতে। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ কনম্যান সুকেশের অপরাধমূলক অতীতকে উপেক্ষা করা বেছে নিয়েছিলেন এবং তার সাথে আর্থিক লেনদেনে লিপ্ত ছিলেন একথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তার চার্জশিটে বলা হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তার চার্জশিটে বলেছে যে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ তার অপরাধী পটভূমি সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও শিল্পী সুকেশের সাথে আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলেন।
উপরন্তু, ইডি আরো দাবি করেছে যে সংযোগটি জ্যাকুলিনের বন্ধু, পরিবার এবং নিজের জন্য আর্থিক সুবিধা ছিল। কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে অর্থের লোভ এমন করে তুলেছে যে তিনি যার সাথে কথা বলেছেন তিনি তাদের অপরাধমূলক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে চিন্তা করেননি।