ধূপপান আসক্ত, শরীরের ক্ষতি কিছুটা হলেও সামাল দিতে ডায়েটে রাখুন এই আটটি খাবার
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এটা জানা সত্ত্বেও অনেকেই ধূমপান করেন। অনেক চেষ্টা করেও এই অভ্যাস ত্যাগ করা খুব কঠিন। এর প্রধান কারণ সিগারেটের মূল উপাদান নিকোটিন। এটি একটি আসক্তিকর রাসায়নিক। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। নিকোটিনের কারণে লাং মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্যানসার ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপানে ইতি টানুন। তবে এই ৮ টি খাবার আপনাকে নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অনেকাংশে দূরে রাখবে।
| Published : Jun 27 2021, 12:28 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কমলা লেবু
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। নিকোটিনের বড় শত্রু ভিটামিন সি। যা শরীর থেকে খুব সহকেই নিকোটিন বের করে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন কমলা লেবু খেলে হজম প্রক্রিয়াও ভালো থাকে।
গাজরের রস
শরীর থেকে নিকোটিন বের করতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ভিটামিন এ, কে, এবং বি দারুন কাজ করে। এই সবকটি ভিটামিন রয়েছে গাজরে। তাই গাজরের রস শরীরের নিকোটিন বের করার পক্ষে খুবই উপকারী। গাজর চিবিয়েও খেতে পারেন।
পালং শাক
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান যারা করেন তাদের শরীরে ফলিক অ্যাসিডের সরবরাহ কম থাকে। এই অ্যাসিড মাংসপেশি, স্নায়ু এবং ব্রেইন হেলথ ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকে। এই শাক ভিটামিনেও ভরপুর। তাই শরীরের নিকোটিন বার করতে পালং শাক খান।
জল
নিকোটিন শরীরকে জলশূন্য করে। এতে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। জল নিকোটিন দ্বারা শরীরের অভ্যন্তরে যে ক্ষতি হয়, তাঁর বিরুধে যুদ্ধ করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুণ।
ব্রোকলি
ব্রোকলিতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন বি-৫ ও ভিটামিন সি থাকে। বি ভিটামিন শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি খেলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুসকে টক্সিন থেকে রক্ষা করে।
কিউই
এই ফলটিতে ভিটামিন এ, সি এবং ই থাকে। এই সবকটি ভিটামিনই নিকোটিনকে জব্দ করতে সক্ষম। তাই প্রতিদিন একটি করে কিউই খেলে মিলবে উপকার।
ডালিম
নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে বাঁচাতে এই ফলটির জুড়ি মেলা ভার। ডালিম শরীরের রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে নিকোটিনকে বার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই জুস হিসেবে বা সরাসরি আজ থেকেই ডালিম খাওয়া শুরু করে দিন।
জাম
এই ফলটি হলো ভিটামিনের আঁতুড় ঘর। জামে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। যার জলে এই ফলটি খুব সহজেই শরীরে জমে থাকা টক্সিন সঙ্গে নিকোটিনও বের করে দেয়।