- Home
- Sports
- Football
- প্রকাশ্যে এল ইস্টবেঙ্গলের তিনটি নতুন জার্সি, জানুন প্রতিটি জার্সি পেছনে রয়েছে কোন ভাবনা
প্রকাশ্যে এল ইস্টবেঙ্গলের তিনটি নতুন জার্সি, জানুন প্রতিটি জার্সি পেছনে রয়েছে কোন ভাবনা
- FB
- TW
- Linkdin
হোম জার্সিটিতে তুলে ধরা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের গর্বের লাল হলুদ রঙকে। এই জার্সিটি তুলে ধরে লাল হলুদ মশালের রূপকে, যা ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের কাছে ঐতিহ্যের এবং গর্বের। এই জার্সিটি গায়ে পরে আছেন একসময় নরউইচ সিটির হয়ে খেলা অ্যান্থনি পিলকিংটন।
ডিজাইনার মেঘনা রায়ের বক্তব্য অনুযায়ী জার্সিটিকে তৈরি করা হয়েছে ঐতিহ্য এবং ছিমছাম ভাবের সংমিশ্রণে। তার মতে ইস্টবেঙ্গলের লাল হলুদ রং এমনিতেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তার সঙ্গে মশালের শিখার ডিজাইন ফুটবলারদের ভালো পারফরম্যান্স করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
অ্যাওয়ে জার্সিটির রং রাখা হয়েছে সাদা এবং নীল। এই জার্সির ডিজাইনটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের প্রিয় ইলিশ মাছের আঁশের আদলে। এই জার্সিটি পরিধান করেছেন একসময় ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ইংলিশ দল নটিংহ্যাম ফরেস্টের প্রাক্তন ডিফেন্ডার ড্যানি ফক্স। আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেই মাঠ কাঁপাবেন তিনি।
ডিজাইনার মেঘনা রায়ের কথা অনুযায়ী অ্যাওয়ে জার্সিটি জলের শস্য ইলিশের আদলে করা হয়েছে কারণ নদীমাতৃক বাংলাতে নদীর অত্যাধিক দূষণের ফলে ইলিশের যোগান তুলনামূলক ভাবে অনেক কমছে, যা প্রভাব ফেলছে একটি বড় সংখ্যক মানুষের রুজি-রুটির ওপর। ওই জার্সির মাধ্যমে নদীর দূষণ রোধের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় জার্সির বেস কালার কালো। তবে তার সাইডে রয়েছে হলুদ রঙের ডোরা কাটা দাগ। এই জার্সিটি পড়ে ছবি তুলেছেন জেজে লালপেখলুয়া। গত মরশুম মাঠের বাইরে কাটানোর পর এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি।
ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় বা নিরপেক্ষ জার্সিটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর গায়ের ডিজাইনের আদলে তৈরি যা মনে করিয়ে দেয় সুন্দরবনের কথা। সুন্দরবনই বাংলাকে রক্ষা করে বড় কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে। তার সঙ্গে সঙ্গে অগুনতি মানুষকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগও করে দেয় এই অঞ্চল। তৃতীয় জার্সিটি এই বার্তা মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে।
অনেক সমর্থক ইস্টবেঙ্গলের এই নতুন হোম জার্সির সাথে ইস্টবেঙ্গল ২০০৩ এর আশিয়ান জয়ী জার্সির মিল খুঁজে পেয়েছেন। এই জার্সি পরে নারায়ণ, নেভিলরাও একইরকম সাফল্য এনে দিতে পারবেন ক্লাবে সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন লাল হলুদ সমর্থকরা।