মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেনে চলুন এই ১০ টোটকা, মন থাকবে সতেজ ও ফুরফুরে
- FB
- TW
- Linkdin
মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। রোজ সঠিক সময় ঘুমাতে যান। অনেকেই রাতে বিছানায় শুয়ে মোবাইল ফোন ঘাঁটার অভ্যেস আছে। এর ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। সঙ্গে সঠিক নিদ্রা থেকে বঞ্চিত হন। সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যেসের বদল করুন। ঘুমানোর সময় খাটে মোবাইল রাখবনে না। এতে মোবাইল থেকে উৎপন্ন হওয়া তরঙ্গ খারাপ প্রভাব ফেলে।
পুষ্টিকর খাবার খান নিয়মিত। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। খাদ্যতালিকায় রাখুন আয়রন, ভিটামিন বি ১২। এগুলো মনের ওপর প্রভাব ফেলে। খিটখিটে মেজাজ, হতাশা, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখে এই খাবার। তাই মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে রোজ স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
চিন্তা মুক্ত থাকা প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য তবেই ভালো থাকবে। অনেকেই অকারণ চিন্তা করার অভ্যেস আছে। তারা এই অভ্যেস বদল করুন। কোনও সমস্যার কারণে চিন্তা আসতেই পারে। তবে, সেই চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করুন। তা না হলে এর খারাপ প্রভাব পড়বে মনের ওপর।
শরীরচর্চা করুন নিয়মিত। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, নিজের জন্য ৩০ মিনিট বের করুন। এই সময় এক্সারসাইজ করতে পারেন কিংবা হাঁটতে পারেন। এতে শরীরের সঙ্গে মনও ভালো থাকবে। সব কাজে উদ্যোগ পাবেন। গুণগত মান বাড়বে যে কোনও কাজের। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই মেনে চলুন এই টোটকা।
সকলের সঙ্গে মেলা মেশা করুন। বন্ধু, আত্মীয় সকলের সঙ্গে মেলা মেশা করুন। লোকের সঙ্গে যত কথা বলবেন, তত মন ভালো থাকবে। একা একা থাকলে মনের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। সঙ্গে একাকীত্ম্য দেখা দেয়। এই সমস্যা বড় আকার নিতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই মেনে চলুন এই টোটকা।
রোজ মেডিটেশন করতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে মেডিটেশন করলে। দিনের শুরুতে অথবা বিকেলে এই ব্যায়াম করা যায়। বর্তমানে স্ট্রেসের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। স্ট্রেস থেকে দেখা দিচ্ছে একের পর এক রোগ। তাই রোগ মুক্ত থাকতে ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। কথায় আছে, এমটি ব্রেন ইস ইভিল ডেন। তাই কাজ ছাড়া বসে থাকলে মাথায় নানা রকম চিন্তা আসবে। যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। রান্না করতে ভালো বাসলে নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করতে পারেন। অথবা নতুন কিছু সৃষ্টি করুন। হাতের কাজ করতে পারেন, গাছ লাগাতে পারেন। এতেও ভালো থাকবে মানসিক স্বাস্থ্য।
মেন্টাল হেলথ প্যান কোর্স করতে পারেন। যদি দেখেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একেবারেই বিফল হচ্ছেন, তাহলে ডাক্তারি পরমর্শ নিন। বর্তমানে মেন্টাল হেলথ প্যান কোর্স করানো হয় বিভিন্ন জায়গায়। এমন কোর্স করতে পারেন।
সব সময় অ্যাকটিভ থাকুন। শারীরিক পরিশ্রম করুন। এতে মন ভালো থাকবে। মস্তিষ্ক সতেজ রাখুন। মস্তিষ্ক সতেজ রাখলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এবার থেকে নিয়ম মেনে চলুন। সকাল থেকে নিজেকে অ্যাকটিভ রাখার চেষ্টা করুন। এর প্রভাব পড়ে মনের ওপর। সুযোগ পেলে সকাল থেকে সংবাদপত্র পড়ুন, পাজল খেলুন, ক্রসওয়ার্ড সমাধান করুন।
ঘুম থেকে উঠে অনেকেই মোবাইল ঘাঁটেন। এই কাজ করবেন না। এতে মনের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। সকালে হয়তো ঘুম থেকে উঠে খারাপ কোনও খবর দেখলেন, এতে সারাদিন মনের ওপর এর প্রভাব থাকে। তাই এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। এতে মন ভালো থাকবে।