ডায়েটিং-এর সময় বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে, এই ১০ টোটকায় খিদে কমবে
বাড়তি ওজন কমাতে সবার আগে পরিবর্তন হয় খাদ্যতালিকা। খাদ্যতালিকা থেকে এক ঝটকায় বাদ পড়ে সকল পছন্দের খাবার। অনেকেই ডায়েটের নামে অর্ধেক খাবার খেয়ে থাকেন। এতে ওজন কম হোক বা নয়, শারীরিক ক্ষতি হওয়া আবশ্যক। ওজন কমাতে চাইলে এবার থেকে মেনে চলুন সঠিক ডায়েট। এই সময় খাবারের পরিমাণ সঠিক করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এতেও যদিও দেখা দেয় অন্য এক সমস্যা। কম খাবার খেলে বারে বারে খিদে পায় অনেকের। এবার মেনে চলুন এই ১০টি টোটকা। খিদে কমবে মুহূর্তে।
| Published : Apr 09 2022, 10:04 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
খিদে পেলে জল খেয়ে নিন। দেখবেন খিদের তারনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। জল খেলে পেট ভরে যায়। তাছাড়া, ডায়েটে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে, বেশ পরিমাণ জল খেলে উপকারই হবে। এতে শরীর থেকে সকল টক্সিন বের হয়ে যাবে। চাইলে ডিটক্স ওয়াটারও খেলে পারেন। ডিটক্স ওয়াটার খালি পেটে খাওয়ার সঙ্গে দিনে একাধিকবার খাওয়া যায়।
ঘন ঘন খিদে পেলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। মাছ, মাংস, সোয়া প্রোডাক্ট খেতে পারেন। এগুলো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এগুলো খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ হবে। সঙ্গে বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যাও দূর হবে।
খেতে পারেন গ্রিন টি। এতে বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এতে থাকা একাধিক পুষ্টিগুণ বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা দূর করে। সঙ্গে যারা ওজন কমাতে চান, তারা দিনে ৩ থেকে ৪ বার পর্যন্ত খেতে পারেন গ্রিন টি। এই চা ওজন কমাতে বেশ উপকারী।
খেতে পারেন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এতে সারাক্ষণ পেট ভরা লাগে। রোজ খাদ্যতালিকায় ফাইবার পরিপূর্ণ খাবার রাখলে শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ হবে। তা ছাড়া, জায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখার নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। ওটমিল, বার্লি, ফল ও সবজিতে থাকে ফাইবার। খেতে পারেন মটর, শিম ও ডাল।
ডায়েট করাকালীন ২ থেকে ৩ ঘন্টার অন্তর খাবার খান। এই সময়ের ব্যবধানে খাবার খেলে বারে বারে খিদে পাবে না। তাই খাবারের মাঝে এই সময়ের ব্যবধান রাখুন। এতে সমস্যা দূর হবে। বারে বারে খিদে পাবে না। সঙ্গে চট জলদি ওজনও কমবে।
এক সঙ্গে অনেকটা খাবার থেকে বারে বারে অল্প করে খাবার খান। আর সব সময় লো ফ্যাট যুক্ত খাবার খাবেন। তা হলে বারে বারে খিদে পাবে না। খেতে পারেন বাদাম, ফল খেতে পারেন। বারে বারে গ্রিন টি খান। একে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে সঙ্গে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। অন্য দিকে, বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
যতটা পারবেন কম নুন খান। অনেকেই বারে বারে কাঁচা নুন খান। এতে ওজন বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নুন খাওয়া যতটা পারবেন কম করুন। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার খান। মাছ, বাদামে ওমেগা ৩ থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ওমেগা ৩ খেলে বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সঙ্গে ওমেগা ৩ শরীরের সকল ঘাটতি দূর করে। এবার থেকে ডায়েটের সময় খাদ্যতালিকায় রাখুন ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
খাদ্যতালিকায় রাখুন নানা রকম খাবার। সবজি, ফল সব রাখুন খাদ্যতালিকায়। নানা রকম খাবার দিয়ে ডিশ বানান। থিম অনুসারে, প্লেট সাজাতে পারেন। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সবকিছু রাখুন খাদ্যতালিকায়। নানা রকম খাবার রাখলে বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা দূর হবে। তাই এই সমস্যা দূর করতে এই টোটকা বেশ উপকারী।
ডায়েটের সময় অনেকেরই বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আদা খেতে পারেন। গরম জলে আদর টুকরো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার এই জল ঠান্ডা করে পান করুন। অথবা খেতে পারেন আদার টুকরো। এতে থাকা পুষ্টিগুণ বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। বারে বারে ক্ষুধার্ত বোধ করার সমস্যা দূর হবে এই টোটকায়।