বিছানায় বসে খাওয়ার মতো একাধিক বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন, অনিদ্রার কারণ হতে পারে এগুলো
- FB
- TW
- Linkdin
রোজ ঘুমের জন্য ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বরাদ্দ করুন। অসিসের কাজের জন্য অনেকেই জীবনযাত্রার ধরনে বদল এসেছে। কাজ শেষ করে ঘুমাতে প্রায় রাত ২টো বেজে যায়। এদিকে সকালে উঠতে হয় ৬টার মধ্যে। এমন অভ্যেস ত্যাগ করুন। সুস্বাস্থ্য বাজায় রাখতে চাইলে নিজের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন। ঘুমের জন্য ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বরাদ্দ করুন।
রোজ একই সময় ঘুমাতে যান। এতে ঘুমের সমস্যা দূর হবে। এক এক দিন এক এক সময় ঘুমালে সঠিক ঘুম যে হবে না, তা সকলেই জানেন। রোজ রাতে নির্দিষ্ট সময় করুন। সেই সময় ঘুমাতে যান। ঘুমের জন্য ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বরাদ্দ করুন। চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময়টা ঘুমাতে।
স্ট্রেস মুক্ত থাকলে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। স্ট্রেসের জন্য দেখা দেয় একাধিক রোগ। কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে তার প্রভাব পড়ে ঘুমে। অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দেয় সঠিক সময় না ঘুমানোর জন্য। এবার থেকে অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সবার আগে স্ট্রেস মুক্ত থাকুন।
ঘুমানোর আগে ফোন ঘাঁটা একেবারে নয়। অধিকাংশই বিছানায় শুয়ে মোবাইল ঘাঁটেন। এর থেকে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী, খাটে মোবাইল নিয়ে অনেকে ঘুমান। তার থেকে হয় ঘুমের সমস্যা। মোবাইল থেকে একটি কম্পোনেন্ট উৎপন্ন হয়, যা নিদ্রায় বাঁধা দেয়। তাই অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে মেনে চলুন এই টোটকা।
ঘুমাতে যাওার আগেল ব্রাশ করুন এবং চুল আঁচড়ান। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ঘুমাতে যান। এতে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। তাছাড়া, ব্রাশ করলে একদিকে যেমন দাঁতের ক্ষয় দূর হবে, তেমনই চুল আঁচড়ালে চুল ভালো থাকবে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এই দুটো কাজ করবেন। এতে ঘুম ভালো হবে।
বিছানায় বসে খাবেন না। বাস্তু মতে, এতে আর্থিক ক্ষতি হয়। অন্য দিকে, বিছানা বসে খেলে খাট নোংরা হয়ে যায়। এই নোংরা খাটে রাতে ঘুমে ব্যঘাত ঘটে। তাই এবার থেকে খাটে বসে খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করুন। এতে আপনারই ক্ষতি।
শারীরিক মিলনে ঘুম ভালো হয়। এমনই তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। শারীরিক মিলনে শরীরের বিভিন্ন হরমোনে পরিবর্তন হয়। এর প্রভাব পড়ে ঘুমের ওপর। তাছাড়া, শারীরিক মিলনে মানসিক পরিতৃপ্তিও মেলে। সে কারণে অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে দম্পতিদের শারীরিক মিলন জরুরি। এই উপায় সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে চাইলে ঘরে ঘুমনোর পরিবেশ তৈরি করুন। টিভি চললে, কিংবা গান বাজলে তার মাঝে ঘুম সম্ভব নয়। সে কারণে সঠিক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করা সবার আগে প্রয়োজন। তবেই অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে। এতে শরীর ও মন উভয় সুস্থ থাকবে। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা।
এই সব টোটকা মেনেও যদি উপকার না পান, তাবলে ডাক্তারি পরামর্শের প্রয়োজন। অনিদ্রার সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। এই সমস্যা থেকে দেখা দিতে পারে কঠিন রোগ। তাই সময় থাকতে থাকতে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। সঠিক সময় রোগ নির্ণয় করা গেলে সহজে তা নিরাময় সম্ভব।
অধিকাংশই আজ অনিদ্রা জনিত সমস্যায় ভোগেন। এর প্রথম কারণ হলে কিছু খারাপ অভ্যেস। আমরা অজান্তেই নিজেদের ক্ষতি করা থাকি। তাই বিছায় বসে খাওয়া থেকে মোবাইলে ঘাঁটার মতো অভ্যাস ত্যাগ করুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ঘুমাতে যান। এতে দূর হবে অনিদ্রাজনিত সকল সমস্যা। সঙ্গে বজায় থাকবে সুস্বাস্থ্য।