ডিপ্রেশন-ই হতে পারে মৃত্যুর কারণ, ১০ লক্ষণ দেখে বুঝে নিন আপনি আক্রান্ত কিনা
- FB
- TW
- Linkdin
মানসিক রোগ একটি ভয়াবহ জটিল রোগ। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে আমি, আপনি, যে কেউ এই পরিস্থিস্তির শিকার হতে পারি। কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে মুখ বুজে থাকলেই বড় বিপদ।
নিজেদের হতাশা, যন্ত্রণার কথা অনেকেই মুখ ফুটে বলতে পারেন না, আবার অনেকেরই মানসিক অবসাদ থাকলেও তা ধরাও পড়ে না।
কিন্তু আপনি বা আপনার পরিচিত যে কেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন তা বুঝবেন কী করে। এটা একটি বড় বিষয়। এই মহাসঙ্কটে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন মধ্যবয়সী তরুণ প্রজন্ম। সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মধ্যবয়সীরা সবথেকে বেশি এই একাকীত্বে ভুগছেন। বয়স্করাই মূলত একাকীত্বে ভুগে থাকেন। কিন্তু সমীক্ষায় তাদের পরিবর্তে তরুণদের সমস্যায় বেশি দেখা যাচ্ছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মধ্যবয়সীদের থেকে তরুণ প্রজন্ম অনেকটা একা আবার বয়স্কদের তুলনায় মধ্যবয়সীরা একাকীত্বে ভুগছেন। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা অনেক বেশি মানসিক অবসাদের শিকার।
চিকিৎসকদের মতে, যারা মানসিক অবসাদের শিকার তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু অনেকের মধ্যে আবার এরকম কোন লক্ষণও প্রকাশ পায় না।
মনোবিদদের মতে, জীবনে বড় কোনও কিছুর থেকে আঘাত পাওয়া, যেমন ব্যক্তিগত, আর্থিক, বন্ধুবান্ধব, সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, ঘনিষ্ঠ মানুষের মৃত্যু থেকে হতাশার সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকে ধীরে ধীরে মানসিক রোগের শিকার হন।
মানসিক অবসাদ থেকে তখন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকে। সঙ্কট পরিস্থিতিতে সেই সংখ্যাটা যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
দিনের পর দিন হতাশা থেকেই নিজেকে হারিয়ে ফেলে মানুষ। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই তখন যেন শেষ হতে থাকে। সারাক্ষণ মনের মধ্যে অন্য চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকেন এইসব ব্যক্তিত্বরা।
বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তো হবে অবশ্যই কিন্তু মানসিক দূরত্বটা যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দূরত্ব মানেই তার থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলা তা কিন্তু নয়। পাশের মানুষটির মনের হদিশ অবশ্যই রাখতে হবে।
মানসিক অবসাদের জেরে অনেকেরই ঘুম কম হয়। সারাদিন তারা খিটখিটে হয়ে থাকেন। অনেকের আবার খিদে কমে যায়। যার জন্য ওজনও কমতে থাকে। আপনার নিজের মধ্যে বা আশেপাশের মানুষের মধ্যে এমন স্বভাব দেখতে পেলেই আগেই সাবধান হোন।
শরীরের মতোন মনেরও ওষুধের দরকার। নিজের সমস্যা চেপে না রেখে মন খুলে কথা বলুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই ধরনের মানুষকে কখনও একা ছাড়ূবেন না। যার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভাল লাগে তাকে নিজের সবটা খুলে বলুন।