ডায়েটিং-এর সময় এই কয়টি সমস্যা উপেক্ষা করবেন না, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে হয় এমনটা
- FB
- TW
- Linkdin
চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় অনেকে। সারা বছরই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন প্রায় সকলে। কিন্তু, যদি দেখেন ডায়েটিং শুরুর পর এই সমস্যা বেড়ে চলেছে তাহলে উপেক্ষা করবেন না। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলে হয় এমন জটিলতা। তাই চুল পড়তে শুরু করলে খাদ্যাতালিকায় বদল করুন। যোগ করুন পুষ্টিকর খাবার। তবেই সুস্থ থাকবেন।
ডায়েটিং-এ হয়তো নিজের মতো চার্ট তৈরি করেছেন। সেই অনুসারে খাওয়া দাওয়া করছেন। হয়তো কম কম খাবার খাচ্ছেন। এমন সময় যদি আপনার বারে বারে খিদে পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডায়েট চার্টে সমস্যা আছে। বারে বারে খিদে পেতে ডায়েট চার্ট বদল করুন। যতটা খাচ্ছেন, তার বেশি পরিমাণে খাবার খান।
ডায়েটিং করার সময় সারাদিন ক্লান্তি লাগা মোটেও ভালো নয়। অনেকেরই এমন সমস্যা হয়। আর তা আমরা উপেক্ষা করে থাকি। ক্লান্তি লাগলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। চার্টে ভুল থাকলে হয় এমনটা। পুষ্টির অভাবে ক্লান্তি, কাজে উদ্যোগ না পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এবার থেকে মাথায় রাখুন এই বিশেষ টিপস।
পুষ্টির অভাব হলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটে। পর্যাপ্ত খাবার না খেলে রাতে সহজে ঘুম আসে না। তাই পেটে খিদে রেখে ডায়েটিং করে তেমন লাভ পাবেন না। খাদ্যতালিয়ায় রাখুন পুষ্টিকর খাবার। আপনার যতটা প্রয়োজন ততটা খাবার খেতে হবে। শুধু ক্যালোরি যুক্ত খাবারের বদলে খান স্বাস্থ্যকর খাবার। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
ডায়েটিং এর সময় সারাদিন কি খাবার কথা আপনার মাথায় ঘুরছে? পেটে খিদে থাকলে দেখা দেয় এমন সমস্যা। খাবারের চিন্তা বারে বারে মাথায় আসলে বুঝতে হবে আপনি পর্যাপ্ত খাবার খাচ্ছেন না। সঙ্গে ঘাটতি হচ্ছে পুষ্টির। তাই ডায়েট চার্ট তৈরির আগে বিশেষ গুরুত্ব দিন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তৈরি করুন চার্ট। তবেই উপকার পাবেন।
পুষ্টির অভাব হলে ও পর্যাপ্ত খাবার না খেলে দেখা দেয় স্ট্রেসের সমস্যা। স্ট্রেসের সমস্যা দেখা দিলে একে বাইরে উপেক্ষা করবেন না। এর থেকে দেখা দেয় একের পর এক জটিলতা। মানসিক চাপের কারণে ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন এমনকী হার্টের রোগ পর্যন্ত হতে পারে। তাই ডায়েটিং এর সময় সতর্ক থাকুন। ভুল চার্ট ফলো করলে হতে পারে কঠিন রোগ।
ব্যায়ামে ক্ষমতা নেই মনে হলে সকর্ত হন। অথবা অল্প ব্যায়ামেই ক্লান্ত লাগলে উপেক্ষা করবেন না। ডায়েটিং করার সময় সারাদিন ক্লান্তি লাগা মোটেও ভালো নয়। পুষ্টির অভাবে এমন হয়। খাদ্যাতালিকায় রোজ রাখতে হবে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন। তা না হলে দেখা দিতে পারে শারীরিক জটিলতা।
হজমের সমস্যা দেখা দিতে ভুলেও তা উপেক্ষা করবেন না। ডায়েটিং-এর সময় অম্বল, গ্যাসের সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এই ডায়েটে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও কর্বোহাইড্রেট খাওয়া প্রয়োজন। তা না হলে হতে পারে এমন সমস্যা। সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডায়েট চার্টে বদল করুন। তা না হলে হতে পারে কঠিন রোগ।
ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিলে প্রচুর জল খান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করা হয়। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে হতে পারে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময় প্রচুর জল খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। তা না হলে সমস্যায় পড়বেন। তা না হলে জলের অভাবে অসুস্থ হতে পারে।
এই সময় রোজ এক্সারসাইজ করতে হবে। রেস্তোরাঁর খাবার কিংবা দোকানের চপ, কাটলেটের বদলে বাড়ির রান্নায় বেশি জোড় দিন। বাড়িতে নিত্য নতুন রেসিপি ট্রাই করুন। দোকানের খাবার যতটা কম খাবেন তত শরীর সুস্থ থাকবে। সঙ্গে সঠিক চার্ট তৈরি করে খাবার খান। এই ডায়েটে পরিমিত ফ্যাট, হাই প্রোটিন ও খুব কম কর্বোহাইড্রেট খাওয়া প্রয়োজন। থাকতে হবে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, খনিজ, প্রোটিন সহ একাধিক উপাদান।