মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে ঝটপট কমবে ওজন, জেনে নিন কীভাবে বাড়াবেন মেটাবলিজমের মাত্রা
- FB
- TW
- Linkdin
একটি বয়স পর্যন্ত মেটাবলিজমের হার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু, প্রতিদিনের কিছু বদঅভ্যাসের মেটাবলিজমের হার কমে যায়। এর ফলে বাড়তে থাকে ওজন। অনেক সময় ক্রাশ ডায়েট করার ফলে মেটাবলিজম কমতে পারে। হয়তো এমন কোনও ডায়েট করলেন, যা আপনার শরীরের জন্য উপকারী নয়, তখন বাড়তে পারে ওজন।
প্রবল মানসিক চাপের কারণে হরমোন কার্টিসল নিঃসৃত হয়। এর কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়। মানসিক অবসাদে যারা ভুগছেন, তারা এমন সমস্যায় পড়তে পারেন। কার্টিসল হরমোন ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই ওজন কমাতে চাইলে যতটা পারবেন মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন। রোজ মেডিটেশন করুন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
পর্যাপ্ত সময় না ঘুমালে মেটাবলিজম কমে যায়। দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান। ঘুম কম হলে রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। এর থেকে বাড়তে থাকে ওজন। তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অবশ্যই মেনে চলুন এই জিনিস। শরীরে মেটাবলিজম কমে গেলে ওজন বৃদ্ধি হয়। তাই ওজন কমাতে রোজ অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান।
সারাদিন অফিসে কাজের জন্য ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বসে থাকছেন। আবার অফিস যাচ্ছেন ও ফিরছেন গাড়িতে। সারাটা দিন মানসিক পরিশ্রম হলেও শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই হচ্ছে না। এর থেকে শরীরের বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক রোগ। সঙ্গে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে মেটাবলিজমের। তাই চেষ্টা করুন শারীরিক পরিশ্রম করতে। এতে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
মেটাবলিজমের মাত্রা ঠিক রাখতে কয়টি আসন করতে পারেন। করতে পারে, উত্তক্তাসন বা চেয়ার বজ। এক্ষেত্রে, প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার চেয়ারে বসার ভঙ্গিমায় বসার চেষ্টা করুন। হাঁটু বাঁকান ও পেলভিসকে নীচের দিকে ঠেলে দিন। এই সময় হাত টান টান করে ওপরের দিকে রাখবেন। আবার উঠে দাঁড়ান। এভাবে কয়েক বার এমন আসন করুন।
করতে পারেন উস্ট্রাসন। এক্ষেত্রে, প্রথমে ম্যাটের ওপর হাঁটু গেড়ে বসুন। এবার পায়ের অবস্থান একই রেখে আপনি সোজা হয়ে দাঁড়ান। তারপর পিছনের দিকে ঝুঁকে হাত দিয়ে গোড়ালি স্পর্শ করুন। এই সময় স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এভাবে কিছুক্ষণ থাকুন। তারপর আবার আগের আগের অবস্থায় ফিরে যান। এই সময় ওপরের দিকে তাকাবেন।
শলভাষন করলে মেটাবলিজেম মাত্রা ঠিক থাকে। এক্ষেত্রে উপুর হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার হাত ও পা টান টান রাখুন। এই ভাবে হাত ও পাত ওপর দিকে তোলার চেষ্টা করুন। কয়েক সেকেন্ড রেখে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুন। এভাবে কিছুক্ষণ এমন আসন করুন। উপকার পাবেন।
বাড়তি ওজন কমাতে সবার আগে পরিবর্তন হয় খাদ্যতালিকা। খাদ্যতালিকা থেকে এক ঝটকায় বাদ পড়ে সকল পছন্দের খাবার। অনেকেই ডায়েটের নামে অর্ধেক খাবার খেয়ে থাকেন। এতে ওজন কম হোক বা নয়, শারীরিক ক্ষতি হওয়া আবশ্যক। ওজন কমাতে চাইলে এবার থেকে মেনে চলুন সঠিক ডায়েট।
এই সময় খাবারের পরিমাণ সঠিক করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এতেও যদিও দেখা দেয় অন্য এক সমস্যা। কম খাবার খেলে বারে বারে খিদে পায় অনেকের। খিদে পেলে জল খেয়ে নিন। দেখবেন খিদের তারনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। জল খেলে পেট ভরে যায়। তাছাড়া, ডায়েটে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তাছাড়া রোজ এক্সারসাইজ করুন। অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। শরীর সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই টোটকা। সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। আর স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এড়িয়ে চলুন দোকানের খাবার। এই ধরনের খাবারে অধিক নুন ও অধিক চিনি থাকে। যা একাধিক রোগের কারণ।