ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মুক্তি দিতে পারে ফুসফুসের রোগ থেকে, জেনে নিন কী করবেন
- FB
- TW
- Linkdin
করতে পারেন পার্সড লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ। এই ব্যায়াম করার জন্য সোজা হয়ে বসুন। এবার নিঃশ্বাস নিন ধীরে ধীরে। এবার ঠোঁট পাউটিং ভঙ্গিতে করুন। এভাবে নিঃশ্বাস ছাড়তে থাকুন। এভাবে ৩০ বার করতে পারেন। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। রোজ করতে পারেন পার্সড লিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ।
করতে পারেন ডায়াফ্রাম্যাটিক ব্রিদিং এক্সারসাইদ। সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার শরীর হালকা করুন। আপনার পেটে হালকাভাবে হাত রাখুন। নাক দিয়ে শ্বাস নিন। এই সময় বুক স্থির রাখবেন ও আপনার পেটের পেশি ভিতর ও বাইরের দিকে করুন। ধীরে ধীরে শ্বাস ছেড়ে দিন। এতে বেলি ব্রিদিং এক্সারসাইজও বলা হয়। ফুসফুস ভালো রাখতে এই এক্সারসাইজ বেশ উপকারী।
রিব স্ট্রেচ এক্সারসাইজ করতে পারেন ফুসফুস ভালো রাখার জন্য। আপনার নিতম্বে হাত রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আপনার ফুসফুস পূর্ণ না হওযা পর্যন্ত ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। ২০ সেকেন্ডের জন্য আপনার শ্বাস ধরে রাখুন। যতক্ষণ পারবেন এভাবে করতে থাকুন। ফুসফুস ভালো থাকবে নিয়মিত এই এক্সারসাইজ করলে।
করতে পারেন বেলো ব্রিদিং। মুখ বন্ধ করে চটপট নাক দিয়ে ঘব ঘন শ্বাস প্রশ্বাস নিনি। প্রতি সেকেন্ডে তিনবার শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার চেষ্টা করুন। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় যেন সমান থাকে। এতে বুকের মাংসবেশির দ্রুত ব্যায়াম হবে। তবে, ১৫ সেকেন্ডের বেশি শ্বাস ধরে রাখবেন না। ফুসফুস ভালো রাখতে বেশ উপকারী এই ব্যায়াম।
নিঃশ্বাস গোনার ব্যায়াম করতে পারেন। মেরুদন্ড সোজা করে বসুন। চোখ বন্ধ রাখুন। কয়েকবার গভীর শ্বাস প্রশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে এর গতি কমান। প্রথমে শ্বাস এক, দুই এভাবে গুনতে থাকুন। এবার ১০ মিনিট করতে থাকুন। এটি এক ধরনের ধ্যান বা মেডিটেশন। এই এক্সারসাইজের গুণে ফুসফুস ভালো থাকবে।
নিয়মিত ফুসফুসের ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকবে। এতে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়বে। তবে, এক্সারসাইজ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেকে ইন্টারটেন ঘেঁটে এক্সারসাইজ করে থাকেন। এতে সমস্যা হতে পারে। সঙ্গে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। তা না হলে, পরে সমস্যায় পড়তে পারেন। সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি।
একেবারে ত্যাগ করুন ধূমপান। ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতি করে। একথা জানা সত্ত্বেও অনেকে ধূমপান করে থাকেন। সিগারেটে থাকা একাধিক উপাদান ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। তাই ত্যাগ করুন এই অভ্যাস। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। ফুসফুস ছাড়াও শরীররে বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে সিগারেট। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিজের অভ্যেসের বদল করুন।
রোজ পুষ্টিকর খাবার খান। ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক খাদ্যগ্রহণ প্রয়োজন। খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ সবজি। রোজ একটি করে ফল খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, শরীর সুস্থ থাকবে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্যভ্যাস বদল করুন। যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে খাদ্যাভ্যাস বদল করা প্রয়োজন।
দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হলে ফেলে রাখবেন না। ক্রমাগচ কফ উঠলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এমনকী, কাশির সঙ্গে রক্তপাতের লক্ষণ হল ফুসফুসের রোগের কারণে। অনেকের বুকে ব্যথা অনুভূত হয় এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে। এই সমস্যা কে অনেকে গ্যাসের সমস্যা ভেবে থাকেন। কিন্তু, ফুসফুসের রোগের লক্ষণ হতে পারে এগুলো।
বায়ু দূষণ ও ধূমপানের কারণে ফুসফুস নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বায়ুতে থাকা একাধিক ক্ষতিকারক উপাদান ফুসফুসের ক্ষতি করে। সঙ্গে যারা ধূমপান করেন, তাদের শরীরে এই ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে মেনে চলতে হবে কঠিন নিয়ম। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে কিংবা ফুসফুস ভালো রাখতে চাইলে শুধু ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ওষুধ খেলে হবে না সঙ্গে এক্সারসাইজ ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন।