সর্বনাশ, এই ৫ কারণ যা বাড়িয়ে তুলতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
হার্ট অ্যাটাক বর্তমান সময়ে এই ঘটনা হামেশাই শোনা যায়। এই সমস্যা অকালেই প্রাণ কেড়েছে অনেকের। এখন সাধারণ মানুষও জানেন যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের ফলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি মারাত্মক বাড়ায়। একইভাবে, ধূমপান এবং আলস্য জীবনযাত্রাও বড় কারণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলি খুব কম লোকই জানেন। সুতরাং, আপনার সুরক্ষা এবং এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি জানা অত্যন্ত জরুরি, যা যে কোনও সমস্যায় নিজের ও অপরের জীবন বাঁচাতে কার্যকর হতে পারে।
| Published : Dec 08 2020, 02:47 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ঘুমের অভাব- এই সমস্যা আপনার বিরক্তিকর বলে হতে পারে। তবে অনেকেই আছেন যারা কম ঘুমের সমস্যাকে অভ্যস্তে পরিণত করেছেন। জানলে অবাক হবেন এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।
গবেষণা অনুসারে, যারা ৬ ঘণ্টারও কম ঘুমে অভ্যস্ত, অন্যান্য লোকের চেয়ে দ্বিগুণ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর পেছনের কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল যে ঘুমের অভাব রক্তচাপ বাড়ায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।
মাইগ্রেনের সমস্যা- মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্যের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। বিশেষত মাথা ব্যাথার মধ্যে যখন একটি অদ্ভুত শব্দ শোনা যায় তখন হার্টের সমস্যার লক্ষণ আরও বেড়ে যায়।
বায়ু দূষণ- বায়ু দূষণের মাত্রা অত্যধিক হলে দূষণের ফলে হার্ট অ্যাটাক ঝুঁকি খুব বেশি হয়ে যায়। দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার ফলে লোকেরা রক্ত জমাট বাঁধা এবং হৃদরোগের ঝুঁকিতে বেশি। একইভাবে, ট্র্যাফিকে আটকে থাকাও বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ যানবাহনের ধোঁয়ার ফলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
হাঁপানি- ফুসফুসের রোগে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও ৭০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই বিপদটি শ্বাসকষ্টের পরেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এর কারণ হল হাঁপানির কারণে মানুষ প্রায়শই বুকের শ্বাসরোধকে উপেক্ষা করে। তবে তাদের জানা উচিত এটি হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে।
বমি ভাব- শীতের সময়ে যখন প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে শীত বা ঠান্ডা অনুভব হয়, তখন এর দ্বারা সৃষ্ট প্রদাহ হার্টের ক্ষতি করতে পারে। একটি গবেষণা অনুসারে শ্বাস নালীর সংক্রমণ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে এই বিপদ হ্রাস পায়।