শুধু মেনে চলুন এই কয়েকটি নিয়ম, অজান্তেই উন্নত হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ার অনেকেরই সর্দি-কাশির মত সমস্যা দেখা যায়। খুশখুশে কাশি তো লেগেই থাকে। তাছাড়া মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে খুলছে স্কুল আবারও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে হলে নজর রাখতে হবে স্বাস্থ্যের উপর। কিভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়, এই বিষয়ে আমরা অনেকেই সচেতন নই। এটি সাধারণত আমাদের জীবনযাত্রার এবং ডায়েটের উপর নির্ভরশীল। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরে বসে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা যায়, এই বিষয়ে কি মত বিশেষজ্ঞদের।
- FB
- TW
- Linkdin
অনেকেই অনেক রাত অবধি জেগে থাকেন আর দেরি করে ঘুম থেকে উঠেন। পাশাপাশি ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা খাবারও খান অনেকেই। এই নিয়মগুলি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
এই নিয়মে চললে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। পাশাপাশি যারা ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যা রয়েছে তা আরও বাড়তে পারে।
সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ভাল ঘুমের প্রয়োজন যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে যখন আমরা বাড়িতে থাকি, তখন চেষ্টা করা উচিত রাতে সময়ের আগে ঘুম পরা এবং খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা।
এই রুটিন নিয়মিত মেনে চলার চেষ্টা করুন। ঘুম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্যকর, সতেজ এবং শক্তিশালী বোধ করবেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব, হৃদরোগ এবং রক্তচাপের রোগীদেরও তাদের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার।
এর পাশাপাশি যদি যোগা বা অন্য কোনও শারীরিক কসরত করে থাকেন তবে তা নিয়মিত অভ্যাসে রাখুন। এছাড়া নিয়ম করে প্রতিদিন একই সময়ে চোখ বন্ধ করে মানসিক ভারসাম্য এবং তৃপ্তির জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ধ্যান করুন।
মন্ত্র জপ করলে মন শান্ত থাকে, কাজে মনসংযোগ বৃদ্ধি পায়। তাই সকালে এবং সন্ধ্যা প্রতিদিন সময় করে ব্যায়াম করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলবে।
এর সঙ্গে ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টার মধ্যে পেট ভরে প্রাতঃরাশ করুন। প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরপর হালকা খাবার খান। মুড়ি, বিস্কুট, চিড়ে শরবত ইত্যাদি।
দুপুরের খাবার বেলা ১ টা থেকে ২ টোর মধ্যে সেরে ফেলুন। সন্ধ্যাবেলা কম চিনিযুক্ত চা সঙ্গে চিঁড়ে অথবা সুজির মতো হালকা খাবার খেয়ে নিন। রাত নটার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলুন।
সেই সঙ্গে সারাদিনে নিয়ম করে প্রচুর জল পান করতে হবে। যা শরীরের থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে ও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।