চা বানান কলা দিয়ে, জেনে নিন এই নতুন স্বাদের চা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী
- FB
- TW
- Linkdin
কলা চা বানাতে প্রয়োজন পরিমাণ মতো চা পাতা আর একটি কলা। প্রথনমে খোসা সমেত বা খোসা ছাড়িয়ে কলা সিদ্ধ করে নিন। তারপর জল থেকে তুলে নিন কলা। এবার সেই জলের সঙ্গে লিকার চা বা দুধ চা মেশাতে পারেন। এই চা খেলে মিলবে একাধিক উপকার। নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে কলা চা।
বাড়তি ওজন নিয়ে সকলেই চিন্তিত থাকেন। তারা খেতে পারেন কলা চা. এতে প্রচুর ফাইবার আছে। যা ধীরে ধীকে হজম হয় ও এই চা খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পাবে না। পেট ভর্তি থাকার কারণে স্বভাবতই আপনি কম খাবার খাবেন। ফলে কমবে আপনার ওজন। তাই যারা বাড়তি ওজন নিয়ে অধিক চিন্তিত তারা খেতে পারেন এই কলা চা।
অল্প বয়সেই হাড়ের ক্ষয় কিংবা দুর্বল হাড়ের মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এই হাড় পোক্ত করতে চাইলে খতে পারেন কলা চা। এই চায়ে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। যা হাড় শক্ত করে থাকে। তাই হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে চাইলে খেয়ে ফেলুন কলা চা। শরীর থাকবে সুস্থ। সঙ্গে হাড় হবে শক্ত।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খেতে পারেন কলা চা। কলা চায়ে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। যারা প্রায়ই পেট ফোলা, পেটের সমস্যায় ভোগেন তারা নিয়মিত এই বিশেষ চা খান। মিলবে উপকার। রোজ ১ কাপ করে কলা চা খেলে পেট পরিষ্কার হবে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ভুগছেন অনেকেই। রক্তচাপ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে নানান পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। এবার এই সমস্যা সমাধানে যেমন ওষুধ খাবেন তেমনই কলা চা খান. এই কলা চায়ে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম। যা রক্তচাপের সমস্যা দূর করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন কলা চা। মিলবে উপকার।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খেতে পারেন কলা চা। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবার থেকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই কলা চা। এটি পান করলে চোখের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। শরীর থাকে সুস্থ। এই সময় রোগ থেকে বাঁচতে চাইলে রোজ খেতে পারেন কলা চা।
স্ট্রেস কম হয় কলা চায়ের গুণে। অফিসের কাজের চাপ, পরিবারের চাপ সামলাতে গিয়ে অনেকেই স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন। এই স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন কলা চা। কলা চায়ে থাকা একাধিক উপকারী উপাদান আমাদের স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে খেতে পারেন এই চা।
জানা যায়, প্রায় ৩ হাজারের বেশি চায়ের প্রকারভেদ আছে। চায়ে ক্যাফেইনের পরিমাণ কফির চেয়ে বেশি। যা স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। সঙ্গে হার্ট ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। খেতে পারেন আদা চা। আদাতে রয়েছে একাধিক ভেষজ উপাদান। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বহু বছর ধরে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। নিয়মিত আদা চা খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। তেমনই কমবে ওজন।
খেতে পারে হিবিস্কাস চা। এটি ক্র্যানবেরির মতো সুস্বাদু। এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। তেমনই খেতে পারেন ল্যাভেন্ডার চা। ইউরোপ ও এশিয়ার এই চা বেশ খ্যাত। মাথা ব্যথা কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে খেতে পারেন এই চা। এই চা খেলে স্ট্রেস দূর হবে। নিয়মিত খেতে পারেন এই ল্যাভেন্ডার চা।
নিয়মিত খেতে পারেন পেপারমিন্ট চা। এতে রয়েছে ভেষজ চা। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এমনকী, স্ট্রেসবাস্টার হিসেবে কাজ করে পেপারমিন্ট টি। খেতে পারেন লেমনগ্রাস চা। এই চা ঔষধী গাছ হিসেবে খ্যাত। নিয়মিত খেতে পারেন এই ভেষজ চা। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেমনগ্রাস। যা শরীরের জন্য উপকারী।