ডেইলি ডায়েটে রাখুন ৩ টে করে ডিম, জেনে নিন এর ১০ অব্যর্থ উপকারীতা
মাছ ভাতের পরেই বাঙালির প্রিয় খাদ্যের তালিকায় রয়েছে ডিম। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনারে সাধারণ ডিমের ঝোল, সকালের জল-খাবার হোক বা দুপুরের ভাত অথবা রাতে রুটি। এই সমস্ত সময়ে ডিম সকলের প্রিয়। ডিম পুষ্টির সেরা স্টোর হাউস। প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের ওজন অনুযায়ী প্রোটিন খাওয়া দরকার। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুমগুলিতে প্রোটিন থাকে তবে সাদা অংশে এর পরিমাণ বেশি থাকে। প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের ওজন অনুযায়ী প্রোটিন খাওয়া দরকার। ৬০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির দিনে ৬০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া দরকার। তবে উচ্চ কোলেস্টেরল এর সমস্যা থাকলে ডিমের কুসুম এড়ানো উচিত। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশ বলছে ডায়াবেটিস এবং কিডনিজনিত রোগীদের ডিম এড়ানো উচিত। জেনে নিন ডিমের ১০টি উপকারীতা।
- FB
- TW
- Linkdin
প্রোটিন ডায়েটে থাকা মানেই তা ওজন কম করতে সহায়তা করে। ডিমে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা দেহের বিপাককে বুস্ট করে।
ডিম ফোলেট সমৃদ্ধ যা লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সেরা খাদ্য ডিম। এই পুষ্টি ভ্রূণের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রেটিনার ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
ডিম খেলে এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়াতে সহায়তা করে। মনে করা হয় উচ্চ এইচডিএল লেভেল লোকেদের হৃদরোগ বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ডিমের রয়েছে কোলাইন যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি নার্ভ ফাংশন অ্যাক্টিভ রাখতে সহায়তা করে।
মনে করা হয় ডিমের সাদা অংশ লিভারে ফ্যাট জমে যাওয়া রোধ করতেও সহায়তা করে।
ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি যা হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং রেটিনার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
ডিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস লুটিন এবং জেক্সানথিন থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই লুটেইন এবং ওমেগা থ্রি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশের চেয়ে কুসুম-সহ গোটা ডিম খাওয়া পেশী তৈরি করতে এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।