বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধিতে মেনে চলুন এই কয়টি টোটকা, জেনে নিন কোন উপায় লম্বা হবে সে
বাচ্চার উচ্চতা নিয়ে সব মা-বাবারাই চিন্তায় ভোগেন। বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি হোক তা সকলেরই কাম্য। তা না হলে সে সব কিছু থেকে পিছিয়ে পড়বে। এই কারণে বাচ্চাকে নানা রকম এক্সারসাইজে ভর্তি করে থাকেন অনেকে। কখনও সাঁতার, কখনও হ্যাংগিং এক্সারসাইজ। তবে, শুধু শারীরিক পরিশ্রমে উচ্চতা বৃদ্ধি হয় না। হরমনের কারণে বাড়ে উচ্চতা। আজ রইল বিশেষ কয়টি টোটকা। বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। নজর দিন এই কয়টি বিষয়ের ওপর। তাহলে বাচ্চার উচ্চতা যেমন বাড়বে তেমনই বুদ্ধির বিকারও ঘটবে। জেনে নিন কোন কোন বিষয় নজর রাখবেন। কী কী করলে বাচ্চার উচ্চতা বাড়তে পারে।
| Published : Apr 25 2022, 12:12 PM IST / Updated: Apr 25 2022, 12:13 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
বাচ্চার খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিন, ভিটামিন, শর্করা জাতীয় খাবার। এই ধরনের খাবার বাচ্চার শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ করে। পুষ্টি জোগায়। এতে তার উচ্চতা বাড়বে। বাচ্চাকে রোজ সবুজ সবজি, ফল খাওয়ান। এতে সে সুস্থও থাকবে। বাচ্চাকে দূরে রাখুন জাঙ্ক ফুড ও কোমল পানীয় থেকে। এতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা বাচ্চাকে অসুস্থ করে দেয়।
রোজ বাচ্চাকে জিঙ্কে পরিপূর্ণ খাবার খাওয়ান। চিনা বাদাম, স্কোয়াশ বীজ খাওয়ান। বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন জিঙ্ক। এমন খাবার খাওয়ান যাতে তার শরীরতে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হবে। এতে তার যেমন উচ্চতা বাড়বে সঙ্গে সুস্থ থাকবে। খেতে পারেন সবজি, মুরগির মাংস, কুমড়োর বিজ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়ান। তবেই তার উচ্চতা বাড়বে।
উচ্চতা বাড়াতে শরীরচর্চার প্রয়োজন। বাচ্চকে করতে পারেন পেলভিক শিফট। এক্ষেত্রে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ান। তারপর দুই হাত ও দুই পায়ের ওপর চাপ প্রযোগ করে কোমরের অংশ উপরের দিকে তুলুন। এভাবে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। করতে পারেন ওয়াল স্ট্রেচ। দেওয়ালের বিপরীতে দাঁড়িয়ে হত দুটো যতদূর যাবে উঁচুতে রাখুন। একটি পায়ের হাঁটু ভেঙে দাঁড়ান। চেষ্টা করবেন আপনার মেরুদন্ড সোজা রাখতে। এভাবে ৪ থেকে ৫ সেকেন্ড থাকুন। আবার আগের অবস্থায় ফিরে যান। এতে উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটবে।
হ্যাংগিং এক্সারসাইজ বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী। একটি শক্ত রড ধরে ঝুলতে হবে। এতে শরীরের মাসেল স্ট্রেচ হবে। সঙ্গে বাচ্চার পেশীও শক্ত হবে। দিনের যে কোনও সময় এই এক্সারসাইজ করা যায়। বাড়িতেও বাচ্চাকে এই এক্সারসাইজ করাতে পারেন। এতে তার উচ্চতা বৃদ্ধি হবে। এক্সারসাইজের সময় পা যেন মাটি থেকে ১ ফুট উঁচুতে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
স্কিপিং করাতে পারেন বাচ্চাকে। স্কিপিং করলে উচ্চতা বৃদ্ধি হবে। এই সময় পুরো শরীরের এক্সারসাইজ হয়। তাই বাচ্চার শরীরে যদি বাড়তি ওজন থাকে তাহলেও উপকার পাবে। রোজ নির্দিষ্ট সময় স্কিপিং করান বাচ্চাকে এতে বাচ্চার হার্টও ভালো থাকবে। তাই রোজ বাচ্চাকে স্কিপিং করান। তবে, স্কিপিং করানোর আগে ভুলেও ভরপেট খাওয়াবেন না। এতে শরীর খারাপ হতে পারে।
সাঁতার করতে উচ্চতা বাড়ে। বাচ্চাকে ছোট বয়সেই সাঁতারে ভর্তি করতে পারেন। এই সময় শরীরের সব পেশী কাজ করে। এর ফলে পেশী শক্ত হয়। সঙ্গে উচ্চতা বাড়বে সহজে। সাঁতার কাটলে মেরুদন্ডও শক্ত হয়। ফলে বড় বয়সে সহজে সে মেরুদন্ড জনিত সমস্যায় ভুগবে না। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। বাচ্চাকে শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতে তাকে সাঁতার কাটান।
ভালো ঘুমের প্রয়োজন উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য। বাচ্চাদের মধ্যেও আজকাল ঘুমের অভাব দেখা যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে সঠিক সময় ঘুমাতে পাঠান। রোজ একই সময় ঘুমানোর অভ্যেস করুন। সঙ্গে বাচ্চার ঘুমানোর আগে ঘরে ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করাতে পারেন। বাচ্চার সঠিক উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক ঘুমের প্রয়োজন।
হরমোনের ক্ষরণের কারণে উচ্চতা বৃদ্ধি হতে পারে। এর প্রভাবে ধীরে ধীরে উচ্চতা বাড়ে। ১২-১৩ বছর বয়সের বাচ্চাদের এই ক্ষরণ বিপুল পরিমাণে বেড়ে যায়। সে কারণে এই বয়সে উচ্চতা দ্রুত বাড়ে। এই সময় তাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান ও এক্সারসাইজ করান। তাহলে দ্রুত ওজন বাড়বে।
১৬-১৭ বছর বয়সে হরমোণ ক্ষরণ কমতে শুরু করে। আর ২০-২১ বছর বয়সে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ ২৫-এর কারও ওজন বাড়ে না। তবে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ডি ও পর্যাপ্ত জল খেলে উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটে। তাই ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে সবার আগে জীবনযাত্রায় বদল করুন।
এবার থেকে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে এই সব কয়টি বিষয় খেয়াল রাখুন। তার খাদ্যতালিকা বদল করুন। তেমনই বাচ্চাকে শরীরচর্চা করান। কয়টি এক্সারসাইজে ওজন বৃদ্ধি হবে। বাচ্চার জীবনে কয়টি পরিবর্তনে যেমন বাচ্চার উচ্চতা বাড়বে তেমনই বুদ্ধির বিকারও ঘটবে। তাই এবার থেকে মেনে চলুন উপরোক্ত উপায়গুলো।