রক্তাল্পতায় সমস্যার সমাধান, জেনে নিন এই অব্যর্থ আয়ুর্বেদিক প্রতিকারগুলি
- FB
- TW
- Linkdin
চিকিৎসকদের মতে, কিছু ধরণের রক্তাল্পতা জেনেটিক এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে শৈশব থেকেই রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে এমন ঘটনাও দেখা যায়। মহিলাদের ঋতুস্রাবের কারণে রক্তের অভাব এবং শরীর দ্বারা আরও রক্তের প্রয়োজনের শিকার হন।
অনুপযুক্ত ডায়েট এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা সবচেয়ে সাধারণ কারণ। তবে আয়ুর্বেদে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা সহজেই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নেওয়া যাক সেই সহজলভ্য উপাদানগুলি সম্বন্ধে।
বিট- সব ধরণের রক্তাল্পতার জন্য খুব উপকারী। বিট, গাজর এবং মিষ্টি আলুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার মেলে। এছাড়া বিট ও আপেলের জুসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। ভাল ফলাফল পেতে দিনে দুবার এই পানীয়গুলি পান করা উচিত।
কালো তিল- ১ টেবল চামচ কালো তিলে প্রায় ৩০ শতাংশ আয়রন থাকে, যা রক্তাল্পতা নিরাময়ে সহায়তা করে। এক চা চামচ কালো তিল দুই ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো তিল নিয়ে নিন এবং পেস্টে করে নিন।
এক গ্লাস দুধে এক চামচ তিলের পেস্ট এবং মধু মিশিয়ে নিন। এই দুধ প্রতিদিন পান করুন এবং হিমোগ্লোবিনের স্তরটি পর্যবেক্ষণ করুন। কয়েক দিনের মধ্যেই ফল পাবেন।
ডালিম- রক্তাল্পতা জন্য ডালিম বা বেদানর রস অন্যতম উপাদান। এক কাপ ডালিমের রসে এক চতুর্থ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে সঙ্গে এই মিশ্রণটি গ্রহণ করুন।
আরেকটি বিকল্প হল এক গ্লাস গরম দুধে দু'চামচ শুকনো ডালিমের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে একবার বা দুবার পান করলেও উপকার মিলবে।
পালং শাক- রক্তাপতার জন্য শাক সবচেয়ে ভাল প্রতিকার। এতে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন বি টুয়েলভ, ফলিক অ্যাসিড-এর মত পুষ্টি রয়েছে। আধা কাপ পালং প্রায় ৩৫ শতাংশ আয়রন এবং ৩৩ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে।
পালং এর স্যুপ ও রক্তাপতার একটি অন্যতম উপাদান। এ ছাড়া আপনি এক গ্লাস তাজা পালং শাক এর রসে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একবার পান করতে পারেন।
এগুলি ছাড়াও অ্যানিমিয়া রোগীদের জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনগুলি আনা উচিত-
আপনার হজম পক্রিয়ার বিশেষ যত্ন নিন। মশলাদার খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও, মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। মসুরের ডালের জল, সবজির স্যুপ সহ হালকা খাবার নিন।
রক্তস্বল্পতা রোগীর খাবার সব সময় লোহার পাত্রে রান্না করা উচিত। এটি শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে। খাবার সহ চা, কফি পান করা কমিয়ে ফেলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীর চর্চা করুন। প্রতিদিন দু'বার ঠান্ডা জলে স্নান করুন, এটি রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে।