মুখে দুর্গন্ধ, সঙ্গে গলা ব্যথা, টনসিলে আক্রান্ত হননি তো আপনি
আবহাওয়া বদলাচ্ছে। শীত চলে যাওয়া এবং গরমের আগমনে ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা। তারপর ঠান্ডা লাগলেই শুরু হয় গলা ব্যথা। গলা ব্যথা হলেই ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়। এই ব্যথা সাধারণত টনসিলের কারণেই হয়। তবে শুধু গলা ব্যথাই নয়, মাঝে মাঝে মুখে দুর্গন্ধও হয়। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে টনসিল কমানো যায়, জেনে নিন বিস্তারিত।
- FB
- TW
- Linkdin
গলা ব্যাথা শুরু হলে গরম জলে সামান্য নুন দিয়ে কুলকুচি করুন। নুন-জল টনসিলের সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, উষ্ণ গরম জল দিয়ে কুলকুচি করলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কাও অনেক কমে যায়
এক কাপ গরম জলে আধ চামচ চা পাতা, এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। হালকা উষ্ণ অবস্থায় ধীরে ধীরে ওই চা পান করুন। চা-এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমস্ত ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে দেয়। দিনে কয়েকবার এই চা পান করলে অনেকটা আরাম পাবেন।
এক কাপ দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। পারলে ছাগলের দুধ দিয়ে করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধ দিয়েও করতে পারেন। হালকা উষ্ণ অবস্থায় এই দুধ খেলে টনসিলের সংক্রামণ অনেকটাই কমবে।
দেড় কাপ জলে কিছুটা পরিমাণ আদা কুচি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই আদা জল পান করুন। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সংক্রমণে বাঁধা দেয়। এর সঙ্গে গলার ব্যথাও ধীরে ধীরে কমে যায়ষ।
গরম জলের মধ্যে লেবু, মধু, নুন দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। যতদিন পর্যন্ত গলা ব্যথা থাকবে ততদিন অবধি এই মিশ্রণটি পান করুন। টনলিলের সমস্যার জন্য এটি খুব কার্যকরী। টলসিল হলে
শুধু গলা ব্যথাই নয়, মাঝে মাঝে মুখে দুর্গন্ধও হয়।