- Home
- Lifestyle
- Health
- বেড়ে চলেছে প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের মতো জটিলতা, জেনে নিন দুই রোগের কী পার্থক্য
বেড়ে চলেছে প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের মতো জটিলতা, জেনে নিন দুই রোগের কী পার্থক্য
অল্প বয়সেই একের পর এক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই তালিকায় আছে যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনির রোগ থেকে নানান হরমোন জনিত সমস্যা। এই সবের সঙ্গে দেখা দিচ্ছে প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাংজাইটি অ্যাটাক। বর্তমান যুগে প্রতিযোগিতায় সামিল হতে গিয়ে নিজের দিতে খেয়াল দেওয়ার সময় নেই অনেকের। এর সঙ্গে অফিস কিংবা সংসারের নানান চিন্তা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান রোগ। বাড়ছে মানসিক সমস্যা। মানসিক অবসাদ, হতাশা নতুন কথা নয়। মানসিক অবসাদ ও হতাশা থেকে দেখা দিচ্ছে প্যানিক অ্যাটাক। আর কোনও বিশেষ উদ্দাীপনা থেকে দেখা দিচ্ছে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক। জেনে নিন এই দুই রোগের মধ্যে তফাত কী ।
- FB
- TW
- Linkdin
প্যানিক অ্যাটাক কখন হবে আগে থেকে বোঝা যায় না। হঠাৎ কোনও ঘটনা থেকে বা কোনও কিছু দেখে আপনার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হলে, তার থেকে এমন সমস্যা হতে পারে। প্রচন্ড ভয় বা আতঙ্কের কারণে ব্যক্তির প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। এটি অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের থেকে ভয়ঙ্কর। এই কয়টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন।
হঠাৎ করে প্রচন্ড ভয় মনকে গ্রাস করলে এমন প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। এটি মহিলাদের বেশি হয়। এমন ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দর খুব বেড়ে যায়। তেমনই অ্যামিগডালা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই লময় অনেকের মনে হতে পার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছে সে। এই সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয়।
হার্ট অ্যাটাকের মতো মনে হলেও প্যানিক অ্যাটাকের সময় বুকের মাঝে ব্যথা অনুভূত হয়। কিন্তু, হার্ট অ্যাটাকে ব্যথা হয় ডান দিকে। এর সঙ্গে প্রচন্ট গরম লাগা কিংবা খুব ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে। এর সঙ্গে অনেকের ঘাম দেয় ও শরীর কাঁপতে থাকে।
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এই সময় অনেকে দ্রুত শ্বাস নিতে থাকে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এমন অক্সিজেনের অভাব ঘটে। তাই কোনও ব্যক্তির এমন লক্ষণ দেখা গেলে তৎক্ষণাত হাসপাতালে নিয়ে যান। দ্রুত চিকিৎসা না করলে কঠিন সমস্যা হতে পারে।
এই সময় অনেকে মানসিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন বা পাগল হয়ে যাচ্ছেন, এমন মনে হতে পারে। তেমনই মস্তিষ্ক অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করে অনেকের। মস্তিষ্কের অর্ধেক বলয় দৌড়াচ্ছে বাকিটা স্থির আছে মনে হতে পারে। প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে এমন লক্ষণ দেখা দেয়। কারও শরীরে এমন অনুভত হলে বুঝবেন আপনি প্যানিক অ্যাটাকের আক্রান্ত হচ্ছেন।
অনেকে সহজে ভয় পাওয়া, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, অল্পতে ক্লান্তি ভাব, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, পেশিতে ব্যথা ও দম বন্ধ লাগার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনার শরীরে এমন সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু করুন। তাহলে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এই কয়টি লক্ষল হল অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের। প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাংজাইটি অ্যাটাকে মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনও উদ্দীপকের দরুন ব্যক্তির এমন সমস্যা হয়। এই ধরনে অ্যাটাকের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে। তাই লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাংজাইটি অ্যাটাকে মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সহজেই। এর জন্য মেনে চলতে পারেন বিশেষ কয়টি জিনিস। রোজ আট ঘন্টা ঘুমান। শরীর সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমের প্রয়োজন। এর সঙ্গে রোজ মেডিটেশন করুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। রোজ মেনে চলুন এই নিয়ম। শরীর থাকবে সুস্থ।
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে রোজ ব্যায়াম করুন। নিয়ম করে মেডিটেশন করুন। শরীর সুস্থ থাকবে এর গুণে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখলে রোজ ব্যায়াম করা প্রয়োজন। সুস্থ থাকার সহজ উপায় হল ব্যায়াম। রোজ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। বজায় থাকবে শারীরিক সুস্থতা।
বর্তমানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান রোগ। বাড়ছে মানসিক সমস্যা। মানসিক অবসাদ, হতাশা নতুন কথা নয়। মানসিক অবসাদ ও হতাশা থেকে দেখা দিচ্ছে প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাংজাইটি অ্যাটাক। এই সকল রোগ সঠিক সময় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হন।