- Home
- India Independence
- News
- রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য সাঁওতালদের প্রার্থনা, টুইটারে আশার বার্তা সুকান্তর
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য সাঁওতালদের প্রার্থনা, টুইটারে আশার বার্তা সুকান্তর
- FB
- TW
- Linkdin
রাষ্ট্রপতির আসনে কোন প্রার্থীকে বসাতে চাইছে কেন্দ্র সরকার? রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। একবার শোনা গিয়েছিল, কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের নাম। কখনও আবার শোনা গেছে, উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর উপরেই আস্থা রয়েছে বিজেপি শিবিরের। তবে, জল্পনা খারিজ করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নামই মনোনীত করেছে পদ্ম শিবির। ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরির পর দ্রৌপদীই প্রথম রাজ্যপাল যিনি তাঁর পদে আসীন ছিলেন ৫ বছর। দ্রৌপদীই প্রথম মহিলা যাঁকে রাজ্যপালের পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত একটি স্কুলের সাম্মানিক সহ শিক্ষিকা ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু।
ভুবনেশ্বরে অবস্থিত রমা দেবী উইমেনস কলেজ থেকে স্নাতক হন দ্রৌপদী। নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কাউন্সিলর হিসেবে। ওডিশার রাইরাংপুরের নগর পঞ্চায়েতের প্রথম কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর ওই এলাকারই জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। ঝাঁটা হাতে মন্দির পরিষ্কারও করেছেন।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ভুক্ত নেত্রী দ্রৌপদী। ২০১৫ সালে নিযুক্ত হন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে। ব্যক্তিগত জীবনে বারবার দুঃখের সম্মুখীন হতে হয়েছে দ্রৌপদীকে। শ্যাম চরণ মুর্মুকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। দুই পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান জন্ম নিয়েছিল তাঁদের সংসারে। স্বামী ও ছেলের অকাল প্রয়াণের পর বর্তমানে শুধুমাত্র মেয়েকে আকঁড়ে ধরে বাঁচছেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।
তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত হওয়াকে যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন ভারতের সমস্ত অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁর মঙ্গল কামনায় ওড়িশার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা সেজে উঠেছেন স্থানীয় উপজাতির মোড়কে।
দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে চেয়ে প্রার্থনা চলছে বিভিন্ন সাঁওতাল পরগণায়। লাল পাড় শাড়ি, সাদা ধুতি পরে করজোড়ে প্রার্থনা করছেন দলে দলে গ্রামবাসী।
এই ছবি টুইটারে পোস্ট করে আশার বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, “এনডিএ-এর রাষ্ট্রপতি মনোনীত প্রার্থী শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য উপজাতীয়দের প্রার্থনা করার এটা এক শক্তিশালী ছবি। তাঁর আসন্ন উন্নতি, একটি শালীন পটভূমি থেকে রাষ্ট্রপতির পদে আসা ভারতের সভ্যতা, সাংবিধানিক মূল্যবোধ আর গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।”