দেশের সেরা ১০টি ঐতিহাসিক স্থানের কথা রইল- যেখানে গেলে এখনও গায়ে কাঁটা দেবে। এক নজরে দেখুন স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে।

ভারতের স্বাধীনতা অনেক লড়াই ও সংগ্রামের। গোটা দেশ জুড়েই হয়েছিল স্বাধীনতার লড়াই। সেই কারণে এখনও দেশের কয়েকটি স্থান এখনও দেশবাসী স্মরণ করিয়ে দেয় স্বাধীনতার লড়াইয়ের কথা। দেশের সেরা ১০টি ঐতিহাসিক স্থানের কথা রইল- যেখানে গেলে এখনও গায়ে কাঁটা দেবে।

১। লালকেল্লা, দিল্লি

মুঘল শক্তির প্রতীক। এটি ব্রিটিস শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী প্রতীক। এইখান থেকেই ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়েছিলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।

২। জালিওয়াওয়ালাবাগ, অমৃতসর

ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড চলেছিল জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্ব। স্বাধীনতার লড়াইকে উজ্জীবিত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ নাইট উপাধি ত্য়াগ করেছিলেন।

৩। সবরমতী আশ্রম

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস লড়াইয়ের প্রাণকেন্দ্র। এটি স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা এখনও স্মরণ করায়।

৪। সেলুলার জেল, পোর্টব্লেয়ার

কালাপানি নামেও পরিচিত। এই কারাগারটিতে স্থান হয় অদম্য স্বাধীনক সংগ্রামীদের। এটি এখনও ব্রিটিস উপনিবেশের নৃশংস শাসনের সাক্ষ্য বহন করে।

৫। গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া, মুম্বই

এই গেট দিয়েই বিদায় নিয়েছিল ব্রিটিস ফৌজ। এটি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের প্রতীক।

৬। আগা খান প্রাসাদ, পুনে

এই প্রসাদটি মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর কারাগার। এখানে তাদের ব্যবহৃত জিনিসের একটি জাদুঘর রয়েছে।

৭। ঝাঁসি দুর্গ, ঝাঁসি

রাণী লক্ষ্মীবাইয়ের সুরক্ষিত দুর্গটি ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের প্রতীক। এখান থেকে ব্রিটিসদের বিরুদ্ধে প্রথম লড়াই শুরু হয়েছিল।

৮। চম্পারণ , বিহার

ভারতে মহাত্মা গান্ধীর প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলনের স্থান, এই স্থানটি সামাজিক ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতার লড়াইয়ে তার নেতৃত্বকে তুলে ধরে।

৯। ব্যারাকপুর, পশ্চিমবঙ্গ

১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সিপাহী মঙ্গল পাণ্ডে, যিনি ব্রিটিস বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছিলেন তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

১০। কাকোরি , উত্তরপ্রদেশ

ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের একটি ঘটনা, কাকোরি ট্রেন ডাকাতির জন্য পরিচিত। এটি স্বাধীনতা সংগ্রামকে উদ্দীপিত করেছিল।