ভারতের ৫ রাজ্যে বার্ড ফ্লু-র সতর্কতা, এক মহামারির মধ্যে উদ্বেগ বাড়ালো আরও এক ভাইরাস
- FB
- TW
- Linkdin
কেরলের দুটি জেলায় বার্ড ফ্লুর প্রকোপ
কেরলের কোট্টায়াম ও আলাপ্পুঝা জেলায় প্রশাসন এখন উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। দুই জেলাতেই হেশ কয়েকটি পোলট্রি খামারে কয়েক হাজার বহু হাঁস-মুরগীর মৃত্যু হয়েছে গত দুইদিনে। এই ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে যে অঞ্চলে বার্ড ফ্লু ধরা পড়েছে সেইসব অঞ্চলের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্য থেকে সুস্থ সব হাঁস-মুরগী ইত্যাদি পাখি সরিয়ে দেওয়া হবে। আগামী তিনদিনের মধ্যে অন্তত ৪৮,০০০ এরও বেশি পাখি সরাবে পশুপালন বিভাগ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে মৃত পাখিদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হবে বা মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।
হিমাচলে বার্ড ফ্লু-এ মৃত পরিযায়ীরা
হিমাচলপ্রদেশে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২,৪০০-এরও বেশি পরিযায়ী পাখিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। হিমাচলপ্রদেশের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেছে, তাদের মৃত্য়ুর জন্য দায়ী এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (এইচ৫এন১)-ই। উল্লেখ্য মৃত পরিযায়ী পাখিদের প্রায় অর্ধেকই বার-হেড হাঁস। এই হংস প্রজাতি 'বিপন্নপ্রায়' হিসাবে চিহ্নিত। এছাড়া মৃত পাখিদের মধ্যে রয়েছে, সোভলার, রিভার টার্ন, পোচার্ড এবং কমন টিল।
রাজস্থানে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক
গত সপ্তাহ থেকে রাজস্থানের ৬টি জেলায় ২৫০টিরও বেশি কাকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ময়ুর ও অন্যান্য পাখিরও। সব মিলিয়ে এই রাজ্যের ১৫টি জেলা থেকে অস্বাভাবিক সংখ্যায় পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বিকানের-এ ৮০টি, সোয়াই মাধোপুরে ৪২টি, কোটায় ১২টি, বারাণে ১২টি, পালি ও জয়পুরে ৮টি, দৌশায় ৬টি, যোধপুরে ৫টি এবং ঝালওয়ার থেকে ২টি পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে এই রাজ্যে বার্ড ফ্লু-এর জন্যই পাখিদের মৃত্য়ু হচ্ছে বলে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পশুপালন ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা মৃত পাখিদের থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করছেন।
মধ্যপ্রদেশে বার্ড ফ্লু-র সতর্কতা
মান্দসৌর, আগর-মালওয়া, খারগোন, সিহোর-সহ মধ্যপ্রদেশের ৮ জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কাকের মৃত্য়ু হয়েছে। ইন্দোর শহরে মৃত কাকের দেহে ভয়ঙ্কর ভাইরাসটির সন্ধান পাওয়ার পরে মধ্যপ্রদেশে বার্ড ফ্লু সতর্কতা জারি করেছে সরকার। তবে এই রাজ্যে হাঁস-মুরগির দেহে বা কোনও পোলট্রি ফার্মে এখনও ভাইরাসটির সংক্রমণ হয়নি বলে জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন মনে করছে রাজস্থান থেকেই ভাইরাসটি তাদের রাজ্যে প্রবেশ করেছে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পোল্ট্রি ও হাঁস-মুরগির পণ্য, খামার, জলাশয় এবং পরিযায়ী পাখিরা আসে যেসব জায়গাগুলিতে, সেইসব এলাকায় কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
সতর্ক গুজরাট-ও
জুনাগড় জেলার মানবাদার তালুকের খড়ো জলাশয়ের তীরে গত ৩ জানুয়ারি পানকৌড়ি ও কম্ব হাঁসসহ প্রায় ৫৩ টি জলচর পাখির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন তাদের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করছে। স্থানীয় প্রসাসনের সন্দেহ খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই সম্ভবত ওই পাখিগুলির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, যখন দশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বার্ড ফ্লু ধরা গিয়েছে, সেই সময় এই নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন।