- Home
- India News
- রঙ্গোলি, বাজি, মিস্টিমুখ, পূজা - কীভাবে কমলা হ্যারিসের জয়ে মেতে উঠল তাঁর মামাবাড়ি, দেখুন
রঙ্গোলি, বাজি, মিস্টিমুখ, পূজা - কীভাবে কমলা হ্যারিসের জয়ে মেতে উঠল তাঁর মামাবাড়ি, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
এই গ্রাম থেকেই মাত্র ১৯ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন কমলার মা শ্যামলা গোপালান হ্যারিস।
অনেক ছোটবেলা একবার মায়ের সঙ্গে থুলাসেন্দ্রাপুরমে মামার বাড়ি এসেছিলেন কমলা। মার্কিন নির্বাচনের প্রচারপর্বে বারবারই তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর মাসিদের কথা।
শনিবার মার্কিন ইতিহাসে কমলা-র নাম উঠে যাওয়ার পর এদিন থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামের বাসিন্দাদের দেখা যায় রঙ্গোলির রঙে বাড়ির উঠোন রাঙিয়ে তুলতে।
সেই রঙ্গোলিতে লেখা ছিল, 'অভিনন্দন! কমলা হ্যারিস জয়ী, আমাদেকর গ্রামের গর্ব, ধন্যবাদ আমেরিকা।
গ্রামের কচিকাঁচাদের দেখা গিয়েছে কমলা হ্যারিসের ছবি দেওয়া পোস্টার হাতে নিয়ে উৎসবে মাততে। এই গ্রাম থেকেও মার্কিন মসনদে আসিন হওয়ার যায়, এই বিশ্বাস এখন তাঁদের সকলের মনে ঢুকে গিয়েছে।
রবিবার গ্রামে দেদার ফেটেছে বাজি। যেন দীপাবলি এই বছর গ্রামে একটু তাড়াতাড়িই এসে গিয়েছে।
গ্রামের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভালো নয়। তারমধ্যেও 'গ্রামের মেয়ে'র এই সাফল্যের দিনে চলে চাঁদা তুলে মিস্টিমুখ করাও।
কমলা হ্যারিস খ্রিষ্টান হলেও তাঁর বিজয়ের পর তাঁর নামে গ্রামের মন্দিরে পুজোও দেন।
গ্রামের প্রায় সকলেই সেই পূজায় অংশ নিয়েছেন। বাচ্চা থেকে বুড়ো - সকলের উৎসাহ ছিল দেখার মতো।
পূজাপাঠের পর সেই পূজার প্রসাদ বা যজ্ঞের ছাই কমলাকে পাঠানো না গেলেও, তাঁর হয়ে তা গ্রহণ করেছেন গোটা গ্রামের মানুষ।
গ্রামের জায়গায় জায়গায় ব্য়ানর টাঙিয়ে কমলার সঙ্গে থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামের যোগাযোগের বিশদ জানানো হয়েছে গর্ব সহকারে।
এমনকী গ্রামের মন্দিরের গায়েও জ্বল জ্বল করেছে কমলা হ্যারিসের ছবি দেওয়া পোস্টার।
গ্রামের প্রবীনরা এদিন যেন একটু বেশিই সময় নিয়েছেন খবরের কাগজ পড়তে। সারাদিন ধরে তাড়িয়ে তাড়িয়ে মার্কিন নির্বাচনের খবর, বিশেষ করে আদরের কমলার কথা পরেও যেন আশ মেটেনি।
কমলার দৌলতে গ্রামের পরিচয়ই বদলে গিয়েছে। আশপাশের গ্রাম-শহর থেকেও বহু মানুষ এখন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের মায়ের গ্রাম দেখতে আসছেন।