করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল বেঙ্গালুরু, মহিলার শরীরে তৈরি হয়নি অ্যান্টিবডি
- FB
- TW
- Linkdin
জুলাই মাসে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। ২৭ বছরের মহিলার শরীরে হালকা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু সম্প্রতি আবারও তাঁর করোনা ধরা পড়েছে।
সুস্থ হওয়া রোগীদের কোভিড ইমিউনোগ্লোবুলিন জি বা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয় ২-৩ সপ্তাহ পরে। সেই রকমই পরীক্ষা করা হয়েছিল এই রোগীর।
আক্রান্তের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। যার অর্থ তিনি সংক্রমণের পরে কোনও রকম প্রতিরোধ তৈরি করতে পারেননি।
রিইনফেকশন কেসের অর্থ হল অ্যান্টিবডি উৎপন্ন না হওয়া। আর অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হলেও তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় না।
এই জাতীয় রোগীদের দ্বিতীয়বারের জন্য আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রবল থাকে।
করোনাভাইরাস আক্রান্তের তালিকায় এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে এই দিনই আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। তারমধ্যে বেঙ্গালুরুর এই খবর যথেষ্ট উদ্বেগের।
তবে ভারতের বিজ্ঞানীরা বলেছেন দ্বিতীয়বারের জন্য সংক্রমণের ঘটনা খুবই বিরল। আর এর জন্য আলাদা করে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রতিষেধকের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে। কারণ বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন হার্ড ইমিউনিটি সংক্রমণ করাতে যথেষ্ট নয়।
ভারতের তেলাঙ্গনা ও মহারাষ্ট্রে এর আগে পুনরায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
হংকং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামসহ বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশে পুনরায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এনেছেন চিকিৎসকরা।