- Home
- India News
- অবশেষে রাজস্থানে অনাস্থা আনছে বিজেপি, কেন পাইলটের ঘর ওয়াপসি পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন রাজে
অবশেষে রাজস্থানে অনাস্থা আনছে বিজেপি, কেন পাইলটের ঘর ওয়াপসি পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন রাজে
- FB
- TW
- Linkdin
জানা গিয়েছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বিজেপি রাজ্য বিধানসভায় একটি দলীয় বিধায়কদের নিয়ে একটি সভা করবে। তারপরই স্পিকারের কাছে গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার আবেদন করা হবে। এতদিন মুখ বন্ধ রাখলেও পাইলট ঘরে ফিরে যাওয়ার পরই রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ বসুন্ধরা রাজে বলতে শুরু করেছেন 'এই সরকার বেশিদিন টিকবে না'।
গত প্রায় একমাস ধরে রাজস্থান কংগ্রেসে নাটক চলেছে। গেহলট-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবিতে সোচ্চার হয়ে বেশ কিছু বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শচীন পাইলট। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দল থেকেও বহিষ্কৃত হন।
তারপর, গত সপ্তাহেই নাটকীয় পরিবর্তন হয় ঘটনাক্রমে। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরই সব মেঘ কেটে যায়। দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় পাইলট ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের। বৃহস্পতিবারই দলের দুই শিবিরের একসঙ্গে বৈঠক করার কথা। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে পাইলট শিবিরের দুই বিধায়কের উপর থেকে সাসপেনশন-এর নির্দেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মেঘ কেটে রাজস্থান কংগ্রেসের আকাশে যখন সূর্য উঠব উঠব করছে ঠিক তখনই হঠাৎ এই বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বসুন্ধরা রাজে। সেইসঙ্গে আনা হচ্ছে অনাস্থা প্রস্তাব। এই বিষয়ে বিজেপি সম্ভবত অনেকটাই দেরি করে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে। গেহলট-পাইলট দুই শিবিরে ভবিষ্যতেও লড়াই জারি থাকলেও এই মুহূর্তে গেহলট-এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে পাইলট শিবিরের সম্মতি না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে বিজেপি দেরি করলেও দেরি হয়নি বসুন্ধরা রাজে-র।
রাজস্থান রাজনীতির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে শচীন পাইলট কংগ্রেস শিবিরে ফিরে যান এমনটাই চেয়েছিলেন স্বয়ং বসুন্ধরা রাজে। শচীন কংগ্রেস থেকে দূরে সরার পর থেকেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এতদিন মুখ বন্ধ রাখলেও বসে ছিলেন না বসুন্ধরা। শচীন-কে দলে নেওয়ার বিষয়ে রীতিমতো দিল্লিতে এসে বিরোধিতা করেন তিনি। দলের অন্দরের খবর, শচীন গেরুয়া শিবিরে এলে রাজস্থান বিজেপি-তে একচ্ছত্র ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে সিন্ধিয়ার পর রাজস্থানের তরুণ কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটকে দলে নিকে আগ্রহীই ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এমনটাই জানা গিয়েছে। কিন্তু, বসুন্ধরা রাজের বিরুদ্ধে যেতে পারেননি তাঁরা। কারণ, বসুন্ধরার সঙ্গেই রাজস্থানের বিজেপির অধিকাংশ বিধায়কের সমর্থন ছিল। তাই শচীন কংগ্রেসে ফেরার পরই অনাস্থায় সক্রিয় হল রাজস্থান বিজেপি।