ভূস্বর্গের নতুন ঠিকানা ইগলু ক্যাফে, কাশ্মীরে বসেই নর্থপোলের অভিজ্ঞতা হবে আপনার
- FB
- TW
- Linkdin
গুলমার্গ, জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্য়াত হিল স্টেশন। শীতকালের পাশাপাশি গরমকালেও পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। চলতি বছর শীতকালে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়েছিল গুলমার্গে। প্রকৃতির পাশাপাশি পর্যটকদের মন ভরিয়ে দিতে তৈরি হয়েছে ইগলু ক্যাফে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তৈরি করেছেন এই ইগলু ক্যাফে। উপত্যকায় এটি প্রথম এই জাতীয় ক্যাফে। ক্যাফেটি তৈরি করেছেন ওয়াসিম শাহ। তিনি বলছেন স্থানীয় পর্যটকদের নতুন অভিজ্ঞতা দিতেই তাঁর এই উদ্যোগ। তিনি আরও জানিয়েছেন সুইটজারল্যান্ড, কানাডাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এজাতীয় ক্যাফে রয়েছে। আর সেখান থেকেই এই ক্যাফে তৈরি পরিকল্পনা করেন তিনি।
ইগলু ক্যাফের প্রশস্ত ২২ ফুট, লম্বা ১৩ ফুট। ক্যাফে মালিকের দাবি এই রেস্তোরাঁয়া একসঙ্গে ১৬ জন অতিথিকে আপ্যায়ন করতে পারবেন তাঁরা। ১৫ দিনে তৈরি করা হয়েছে এই ক্যাফে। টেবিল ও বেঞ্চগুলি বরফ দিতে তৈরি করা হয়েছে। তবে আরামদায়ক বসার জায়গা তৈরির জন্য কুশন দেওয়া হয়েছে।
টানা দুবছর পর চলতি বছর কিছুটা হলে পর্যটন শিল্পের খরা কেটেছে ভূস্বর্গে। গুলমার্গ ও পাহেলগামের মত হিল স্টেশনেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক গেছেন। শীতের শেষ পর্যন্ত সমস্ত হোটেলগুলিতেই শীতকালের শেষ পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর চলতি বছর প্রবল তুষারপাত হয়। তা পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
পর্যটকদের নতুন করে আকর্ষিত করতে ইগলু ক্যাফে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেও দাবি করেছেন সংস্থার কর্ণধার।
তবে প্রবল গরমে গুলমার্গেই এজাতীয় ইগলু ক্যাপে রেখে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই মূলত শীতকালের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই ইগলু ক্যাফে তৈরি করা হয়েছে।
মালিকের দাবি এটি এশিয়ার সবথেকে বড় ইগলু ক্যাফে. আগামী দিনে একটি লিমকা রেকর্ড বইতে নিজের স্থান করেনেবে।
ক্যাফের মালিক জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি নিজের বাড়িতে এজাতীয় একটি ইগলু তৈরি করেছিলেন। সেই সময় বহু মানুষ তাঁর ইগলুর প্রশংসা করেন। তারপরই তিনি এজাতীয় একটি ইগলু ক্যাপে তৈরির চিন্তা পরিকল্পনা করেন। গুলমার্গের কোলাহাই রিসর্টটি তাঁদের। রিসর্টের বাইরেই তৈরি হয়েছে ইগলু ক্যাপে।