টেনশনে চিন-পাকিস্তান! LOC-তে মোতায়েন ভারতীয় স্নাইপারদের হাতে সাকো টিআরজি-৪২
- FB
- TW
- Linkdin
জানা গিয়েছে, পাল্লা, ফায়ার পাওয়ার এবং বাইনোকুলারে দেখার ক্ষমতার দিক থেকে, পাকিস্তানি সেনা বা অন্য কোনও শত্রু সেনাবাহিনীর হাতে থাকা স্নাইপার রাইফেলের তুলনায়, সাকো .৩৩৮ টিআরজি-৪২ অনেক এগিয়ে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন সমস্ত স্নাইপারদের এখন এই নতুন রাইফেলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এবং রেজিমেন্ট থেকে ১০ জন স্নাইপারের একটি দলকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফরোয়ার্ড অঞ্চলে সেনাবাহিনীর টহল দেওয়ার ক্ষেত্রে স্নাইপিংই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে চিন-পাকিস্তান জোড়া হুমকির মুখে, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্ত বরাবর সেনাবাহিনীর অপারেশনাল কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন করা হচ্ছে। তারই অন্যতম পদক্ষেপ এই নয়া রাইফেলের অন্তর্ভুক্তি।
২০১৮-২০১৯ সাল থেকে উপত্যকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে স্নাইপিংয়ের ঘটনা ক্রমেই বেড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় সেনাও বাহিনীতে মানসম্পন্ন স্নাইপার রাইফেল অন্তর্ভুক্ত করা এবং জওয়ানদের সেগুলির প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে। এর আগে ২০১৯-২০ সালে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল 'বেরেটা .338 লাপুয়া ম্যাগনাম স্করপিও টিজিটি' এবং 'বারেট .৫০ ক্যালিবার এস-৯৫ রাইফেল'। এবার সাকো স্নাইপার রাইফেল, যথাক্রমে ইতালি এবং আমেরিকায় তৈরি এই দুটি রাইফেলের জায়গা নেবে।
তার আগে সেনাবাহিনী ব্যবহার করত বেশ পুরোনো রাশিয়ান ড্র্যাগোনভ রাইফেল। ১৯৯০-এর দশকে এই রাইফেল তৈরি হয়েছিল। এগুলির পাল্লা ছিল ১ কিলোমিটারেরও সামান্য বেশি। এবার বাহিনীর হাতে এল সাকো টিআরজি-৪২ স্নাইপার রাইফেল, যার পাল্লা দেড় কিলোমিটারের বেশি।
সাকো টিআরজি-৪২ স্নাইপার রাইফেল হল একটি বোল্ট-অ্যাকশন স্নাইপার রাইফেল। ফিনল্যান্ডের অস্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থা সাকো এটির নকশাকার এবং তারাই এই রাইফেল তৈরি করে। এই রাইফেল হাতে আসায়, ভারতীয় স্নাইপাররা আগের থেকে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছেন।
কার্তুজ ছাড়া এই রাইফেলটির ওজন ৬.৫৫ কেজি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, সাকো টিআরজি-৪২ বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য রাইফেলগুলির মধ্যে একটি, নিখুঁতভাবে আঘাত করতে পারে লক্ষ্যবস্তুতে।