- Home
- India News
- জঙ্গি ছিনিয়ে নিতে জেল ভাঙার ছক আইএসের, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
জঙ্গি ছিনিয়ে নিতে জেল ভাঙার ছক আইএসের, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
- FB
- TW
- Linkdin
কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের জালালাবাদে তিনটি জেলে সশস্ত্র হামলা চালায় আইএস। ১১ সদস্যের অপারেশন দলে চার জনই ছিল ভারতীয়। জেল ভেঙে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে তারা ছাড়িয়েও নিয়ে যায়।
এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আইএসের নিজস্ব নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে তাঁরা আড়ি পাততে শুরু করেন। জঙ্গি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ম্যাগাজিনও ঘেঁটে দেখেন গোয়েন্দারা।
তাতে গোয়েন্দারা মোটামুটি নিশ্চিত, জেলবন্দি জঙ্গিদের মুক্ত করাই আইএসের লক্ষ্য। ভারতও রয়েছে তাদের ‘হিট লিস্ট’-এ।
জঙ্গিদের জেল ভেঙে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইসলামিক স্টেট (আইএস)বড়সড় নাশকতার ছক সাজাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বেশ কয়েকটি জেলে বন্দি রয়েছে আইএস জঙ্গিরা। তাদের ছাড়ানোই এখন মূল ‘টার্গেট’ এই জঙ্গি সংগঠনের। তাই বিদেশের মাটিতে বসে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তারা।
ভারতে অপারেশনে থাকবে এখানকার আইএস ‘ক্যাডার’রা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে এমনই রিপোর্ট এসেছে। তার ভিত্তিতে সতর্ক করা হয়েছে প্রতিটি রাজ্যকে।
আইএস জঙ্গি বন্দি রয়েছে, এমন জেলগুলিকে চিহ্নিত করে নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শও দিয়েছেন গোয়েন্দারা।
পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছে জঙ্গি মুসা। তাকেও ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আইএসের।
মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্য সঠিক হলে, আইএসের শীর্ষনেতা আবু বকর আল বাগদাদি আর বেঁচে নেই। গত অক্টোবর মাসে সিরিয়ায় তার মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই ‘ব্যাকফুট’-এ সংগঠনের কার্যকলাপ।
ইরাক, সিরিয়ায় এখন বেশ কোণঠাসা আইএস। সিংহভাগ ‘স্কোয়াড’ সদস্য হয় মারা পড়েছে, নতুবা ধরা পড়েছে।
পশ্চিমবঙ্গেও ধরা পড়েছে আইএসের ‘স্কোয়াড’ সদস্য জঙ্গি মুসা। সে এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। কিছুদিন আগে জেলের এক কারারক্ষীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে সে।
শুধু মুসাই নয়, বছর খানেক আগে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে চার আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। তারা এখনও জেলবন্দি। সব মিলিয়ে গোটা দেশে ৫০ জনেরও বেশি আইএস জঙ্গি বিভিন্ন জেলে বন্দি রয়েছে।
কাশ্মীর, কেরলকে বাদ দিলে দেশে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে আইএস মডিউল। প্রশিক্ষিত সদস্য ও ‘প্ল্যানার’-এর টান পড়েছে আইএসের। সেই কারণেই জেলবন্দিদের ছাড়ানোর পরিকল্পনা বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, পাক-আফগান সীমান্তে বসে হামলার ‘ব্লু-প্রিন্ট’ বানাচ্ছে আইএস। দায়িত্ব পেয়েছে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মাথারা। কাশ্মীরের নেতাদেরও অপারেশনে নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। মোট ১৫০ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয়েছে বিশেষ ‘স্কোয়াড বাহিনী’। সশস্ত্র হামলা চালানোর প্রশিক্ষণও চলছে। ইতিমধ্যেই ভারতের কোন জেলে এবং কোন সেলে আইএস জঙ্গিরা রয়েছে, সেই তথ্য জোগাড় করে ফেলেছে বাহিনী।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, দু’টি কৌশলে আইএস তাদের কাজ হাসিল করতে পারে। এক, জেলে অতর্কিতে হানা। দুই, আদালতে যাওয়া আসার পথে হামলা চালানোর ছক। আইএসের এই দু’টি কৌশলের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে জেলবন্দি জঙ্গিদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাকে, কোথায় পাঠানো হবে, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে গোপনে।