ভ্যাকসিনের তদারকিতে তিন শহরের তিন গবেষণাগারে প্রধানমন্ত্রী, দেখুন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
এদিন সফরের শুরুতেই তিনি গিয়েছিলেন নিজ রাজ্য গুজরাতের আহমেদাবাদে জাইডাস ক্যাডিলা-র সদর দফতর জাইডাস বায়োটেক পার্কে।
এই বেসরকরি সংস্থা দেশিয় প্রযুক্তিতে একটি ডিএনএ নির্ভর কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী সংস্থার কার্যনির্বাহী কর্তা ও গবেষকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশেষ বিমানে এসে উপস্থিত হন হায়দরাবাদের হাকিমপেট বিমানবন্দরে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিশেষ অনুরোধে বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন না তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর।
বিমান বন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি চলে আসেন ভারত বায়োটেক-এর গবেষণাগারে। এখানে আইসিএমআরের সহযোগিতা নিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে কোনও টিকা দেওয়া হবে না। বিজ্ঞানীরা শংসা দিলে তবেই টিকাকরণ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিনের কটি ডোজ দেওয়া হবে, তা সরকারের পক্ষ থেকে এখনও স্থির করা হয়নি। তবে টিকা দেওয়াটা জাতীয় প্রতিশ্রুতি। সরকার মসৃণ, নিয়মতান্ত্রিক, টেকসই টিকা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে।
তিনি আরও জানান, ভারতের মতো টিকা দেওয়ার অভিজ্ঞতা বিশ্বের কোনও দেশের নেই।
এরপর প্রধানমন্ত্রী আসেন পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-তে। সিরাম-এর সিইও আদেশ পুনাওয়ালার-সহ অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী।
এই কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা নয়, চলছে অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক আকারে উৎপাদনের কাজ। এই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি করেছে ভারত সরকার।
পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার উত্পাদন সুবিধাটি তিনি ঘুরে দেখেছেন। সংস্থার কর্তারা তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁরা কীভাবে উত্পাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।