- Home
- India News
- বায়ুসেনার হাতে রাফাল আসতেই থরহরি কম্প পাকিস্তানের, চিনের কাছে জে-১০ ফাইটার জেটের আবদার ইমরানের
বায়ুসেনার হাতে রাফাল আসতেই থরহরি কম্প পাকিস্তানের, চিনের কাছে জে-১০ ফাইটার জেটের আবদার ইমরানের
- FB
- TW
- Linkdin
আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল রাফালের পাঁচটি যুদ্ধবিমান।
হরিয়ানার আম্বালা এয়ারবেসে সর্ব ধর্ম পুজোর মধ্যে দিয়ে ধূমধাম করে এই অনুষ্ঠান পালিত হল।
আকাশে হল বায়ুসেনার শক্তি প্রদর্শন, সুখোই ও জাগুয়ারের সঙ্গে চলল রাফালের পারফরম্যান্স। সাক্ষী থাকলেন ভারত ও ফ্রান্স সরকারের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ভারতীয় বায়ুসেনার নয়া যুদ্ধবিমানকে জলকামানের মাধ্যমে স্যালুট জানানো হয়।
রাফালের বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি এসে পৌঁছন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরঁস পার্লি। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি ও ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-ই ছিলেন প্রধান অতিথি।
এদিকে ভারতীয় বায়ুসেনায় রাফালের অন্তর্ভুক্তি হতেই আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে চিনের নাম না-করে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর মতে এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত, আর রাফালই হল ভারতের 'গেমচেঞ্জার'।
ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকে ভাদুরিয়া, প্রচিরক্ষা সচিব ড. অজয় কুমার-সহ আরও নানা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
ফরাসি প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ভারতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েল লেনেন, ফরাসি বায়ুসেনার ভাইস চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার জেনারেল এরিক অটেলেট ও অন্যান্যরা।
এদিকে রাফাল ভারতীয় বিমান বাহিনীর অংশ হওয়ার সাথে সাথেই পাকিস্তানে থরহরি কম্প হতে শুরু করেছে। ভয়ে ক্রমাগত গুটিয়ে যাচ্ছে পাক প্রধান ইমরান খান। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান তাদের বন্ধু দেশ চিনকে মিসাইল এবং যুদ্ধ বিমান দিয়ে সাহায্য করার অনুরোধ করছে।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি বিমান বাহিনী চিনের কাছে ৩০ টি জে-১০ ফাইটার যুদ্ধ বিমান এবং আধুনিক মানের এয়ার টু এয়ার মিশাইল দেওয়ার অনুরোধ করেছে। রাফাল ভারতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই পাকিস্তানের হাল বেহাল। আকাশে যেন কালো মেঘের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের পরকাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আসরফ আরুখি ভারতের মাটিতে রাফালের আগমনের পরবর্তীতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা জানিয়েছিলেন, ‘আমরা জেনেছি যে ভারতের বায়ুসেনায় রাফাল যুদ্ধ বিমান সামিল হয়েছে। তবে এটা ভাবার বিষয়, যে ভারত নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে নিজেদের সেনাবলকে আরও মজবুত করছে’।
রাফালের ভয়ে তাই তড়িঘড়ি বন্ধু দেশ চিনের কাছে ৩০ টি জে-১০ যুদ্ধ বিমান, এবং এয়ার টু এয়ার ফাইটার শর্ট রেঞ্জ পিএল১০ এবং লং রেঞ্জের পিএল১৫ মিসাইলের সাহায্য প্রার্থনা করেছে ইসলামাবাদ। আমেরিকার সাথে ভারতের বন্ধুত্ব গাঢ় হওয়ার পর থেকেই চিনই হল পাকিস্তানের একমাত্র ভরসার স্থান।
বর্তমানে রাফাল যুদ্ধ বিমান ভারতের বায়ুসেনায় সামিল হয়ে গেছে। সেই কারণে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে বন্ধু দেশ চিন থেকেই যুদ্ধ বিমান আনাচ্ছে পাকিস্তান।
২০০৯ সালে প্রথমবার জে-১০ যুদ্ধবিমানের জন্য চিনের কাছে হাত পেতেছিল পাকিস্তান। তবে জেওফ-১৭ যুদ্ধবিমানের যৌথ নির্মাণের চুক্তি হওয়ার ফলে সেগুলি আর চিনের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভারতে রাফাল আসতেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইমরান। তাই নতুন করে চিনের থেকে একাধিক যুদ্ধবিমান কিনতে চাইছে পাকিস্তান।