নিজেদের দাবি থেকে একচুলও সরছে না কৃষকরা, পঞ্চম দফার বৈঠকে 'মৌনব্রত' আন্দোলনকারীদের
১১ দিনে পড়ল দিল্লির কৃষক বিক্ষোভ। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড়় আন্দোলনকারী কৃষকরা। নতুন কৃষি বিল প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষকরা এই দাবি থেকে সরে না আসায় এখনও সরকারের সঙ্গে পঞ্চম বৈঠককেও মিলল না কোনও রফা সূত্র। পরবর্তী বৈঠক আগামী বিধবার। তার আগের দিনই কৃষকরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে।
| Published : Dec 06 2020, 08:58 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
দিল্লির বিজ্ঞানভবনে শনিবার কৃষকদের সঙ্গে সরকারের পঞ্চম দফা আলোচনা হয়। কিন্তু সেখানে কৃষকরা মৌনব্রত অবলম্বন করেন। তাঁকা এইটি ছোট্ট হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়েই আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল হ্যাঁ অথবা না। অর্থাৎ কৃষি বিল নিয়ে আর আলোচনা না করে এবার তাঁরা বিল প্রত্যাহারের ওপরেই বেশি জোর দিলেন।
পঞ্চম দফায় বৈঠকও ব্যর্থ হয়। কিন্তু কৃষকরা যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয় আগ্রহী তা আরও একবার স্পষ্ট হয় তাঁরা পরবর্তী বৈঠকের জন্য রাজি হওয়ায়। পরবর্তী বৈঠক হবে আগামী বুধবার, অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর।
তার আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার কৃষকরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত বনধ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। ওই দিনই কৃষকরা দিল্লির সব রাস্ত বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে।
. কৃষকরা ষষ্ঠ দফার আলোচনার জন্য রাজি হয়েছেন। তবে তাঁরা মূল দাবি থেকে সরে আসেনি। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে, নতুন আইনগুলি পুরোপুরি বাতিল করা ছাড়া আরও কোনও দাবি তাদের নেই। পাশাপাশি নূন্যতম সহায়কমূল্য নিয়ে আইন জোরদার করতে হবে।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আশ্বাস দিয়েছেন, কৃষকদের কথা শুনতে চাইছে সরকার। এমএসপি বা নূন্যতম সহায়ক মূল্য অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আন্দোলন স্থান থেকে মহিলা ও শিশুদের বাড়ি ফিরত পাঠিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেম তিনি।
আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের নেতাদারে দাবি এখন আর এই আন্দোলন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাকি রাজ্যের কৃষকরাও তাদের সমর্থন জানাচ্ছে। এআইডিএমকে, আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
প্রতিবাদী কৃষকরা দেশের প্রভাবশালী মানুষদেরও সমর্থণ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। শনিবার পঞ্জাবের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী ও অর্জুন পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আগেই পদ্মভূষণ ফিরিয়েছিলেন প্রকাশ সিং বাদল।
ভারতের কৃষক বিক্ষোভের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেছেন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার সকলের রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ তাদের অনুমতি দেওয়া।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুডোও ভারতের কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছেন। যা নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারে। কিন্তু তারপরেও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা সহ একাধিক দেশের প্রবাসী ভারতীয়রা বিশেষত শিখ সম্প্রদায়ের মানুষে কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানের সমর্থনে মিছিল করছেন অথবা তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।