- Home
- World News
- International News
- 9/11: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার ২০ বছর, স্যাটেলাইট ইমেজে দেখুন হামলার ছবি
9/11: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার ২০ বছর, স্যাটেলাইট ইমেজে দেখুন হামলার ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
ছবি সৌজন্যে ম্যাক্সার টেকনোলজিস
১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার দিনের ছবি। এই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে আকাশ জুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। আল-কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছিল। মার্কিন ষুক্তারাষ্ট্রে সীমানার মধ্যে ঢুকে চারটি বিমান ছিনতাই করে আল - কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠী গুঁড়িয়ে দিয়েইল টুইন টাওয়ার। পর দুটি হামলায় ভেঙে যায় দুটি টাওয়ার।
ছবি সৌজন্যে ম্যাক্সার টেকনোলজিস
হামলার চার দিন পর অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর এই ছবি তোলা হয়েছিল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে আকাশ তখনও ঢেকে ছিল ধোঁয়ায়। একটি গবেষণা বলছেন হামলার কুড়ি বছর আগের হামলার ক্ষতি এখনও বহন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হামলার কারণে বিষাক্ত হয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা বর্তমানে গ্রাউন্ড জিরোর বাতাস। যার থেকে অধিকাংশ মানুষের ক্যান্সার হচ্ছে। মানসিক রোগেও ভুগছে।
ছবি সৌজন্যে ম্যাক্সার টেকনোলজিস
পেনসিলভেনিয়ার শ্যাঙ্কসভিলায় ফ্লাইট ৯৩ বিধ্বস্ত মাঠটি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল পার্ক সার্ভিসের অধীনে রয়েছে। এটি ফ্লাইট ৯৩ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিণত হয়েছে এখন। হামলার নিহতদের প্রতি এখনও এখানে অনেকেই শ্রদ্ধা জানান।
ছবি সৌজন্যে ম্যাক্সার টেকনোলজিস
এই ছবিটি হামলার দিনে তোলা হয়েছিল। পেন্টাগন ও সংলগ্ন এলাকার ছবি। হামলারকারীদের টার্গেট ছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনও। যদিও শেষ পর্যন্ত তাতে সফল হয়নি হামলাকারীরা।
৯/১১ হামলার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। আল - কায়দাসহ সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেছিল। সঙ্গে ছিন ন্যাটো তথা মিত্র বাহিনী।
আফগান মাটিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছিল টানা ২০ বছর ধরে। মার্কিন সেনার মূল লড়াই ছিল আল-কায়দা তথা তালিবানদের সঙ্গে। কুড়ি বছরের যুদ্ধে আফানিস্তানের মাটিতে শতাধিক মার্কিন সেনার প্রাণ গেছে। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি। শান্তি আলোচনায় ভরসা রাখতে হয়েছে মার্কিন প্রশাসনেকে।
হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের ঢুকে হত্যা করা মার্কিন সেনা। আব্যাটাবেদ মার্কিন যুদ্ধ বিমান অবতরন করে রাতারাতি। আপারেশন জেরোনিমো ছিল তার নাম। ২০১১ সালের ২ মে হত্যা করা হয় লাদেনকে। তার দেহ ফেলে দেওয়া হয় সমুদ্রে। কিন্তু তারপেরেও থামেনি যুদ্ধ।
তালিবানদের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি চুক্তি হয় তালিবানদের। ডোনল্ড ট্রাম্পের আমলে শান্তি চুক্তি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেয়র সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেন তালিবান নেতা আব্দুল ঘানি বরাদর, স্ট্যানিকজাইরা।
সেই চুক্তি মেনেই চলতি বছর সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমনতার পথ তত দ্রুত অগ্রসর হয়। তালিবানরা ১৫ অগাস্ট কাবুল দখল করে। দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় জো বাইডেনের প্রশাসনকে। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। নতুন প্রজন্মকে তিনি আর যুদ্ধে পাঠাতে চান না। পাশাপাসি হামলার কুড়িতম বার্ষিকীতে মার্কিন প্রেসেডেন্ট জো বাইডেনের গ্রাউন্ট জিরো সফর করার কথা।