- Home
- World News
- International News
- কন্যা সন্তানের জন্ম দিল ১৩-র কিশোরী, দাবি করেছিল ১০ বছরের প্রেমিক তার সন্তানের বাবা
কন্যা সন্তানের জন্ম দিল ১৩-র কিশোরী, দাবি করেছিল ১০ বছরের প্রেমিক তার সন্তানের বাবা
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরী। সদ্য মা হওয়া স্কুল ছাত্রীটি প্রথমে দাবি করেছিল ১০ বছরের এক কিশোর ইভান তাকে গর্ভাবতী করেছে। সদ্যো মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া দরিয়া সুদশনিকোভা ও তার সদ্যোজাত কন্যা সন্তান এমিলি দুজনেই সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সন্তানের জন্মদেওয়ার পূর্ব বিবরণে দিয়ে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে দারিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বলেছে সন্তান জন্মদেওয়ার পরের মুহূর্তের আনন্দের জন্য গর্ভধারণের কষ্ট সে সহ্য করতে রাজি রয়েছে। তবে রাশিয়ান প্রথা অনুযায়ী তার ৪০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত সে তার সন্তানের মুখ দর্শন করবে না বলেও জানিয়েছেন। দারিয়া দারি করেছিল ১০ বছরের ইভান তার সন্তানের বাবা। কিন্তু বিষয়টি মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাই পরীক্ষা করে দেখার জন্য দারিয়া আর তার সন্তানের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
রাশিয়ার একটি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে ১৩ বছরের দারিয়া সুদশনিকোভা। প্রথম থেকেই সে দাবি করে আসছিল তার বয়ফ্রেন্ড ১০ বছরের ইভান তার সন্তানের বাবা। হাসপাতালে নবজাতককে জন্ম দেওয়ার পরই ইভানের সঙ্গেই প্রথম আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে।
গর্ভধারনের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল দারিয়া। কারণ সে তার গর্ভধারণের বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বিস্তারিত আলোচনা করেছিল। আর সেখানেই সে বলেছিল গর্ভধারণের যন্ত্রণার কথা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ৪ লক্ষেরও বেশি তার ফলোয়ার। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তার অনুগামীরা তাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছে।
ইভান আর দারিয়ার অভিভাবকরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইভানের বয়স কম হওয়ার জন্য তাকে লেবার রুমে থাকতে দেওয়া হয়নি। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দারিয়া সন্তানের মুখ দেখিয়েছেন ইভানকে।
দারিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ান ঐতিহ্য অনুযায়ী তার ৪০ বছর না হওয়া পর্যন্ত সন্তানের মুখ দেখবে না। সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে তার মা।
দারিয়া প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল ইভান তার সন্তানের পিতা। কিন্তু তার মানতে রাজি ছিলেন না বিশেষজ্ঞরা। তারপরই দারিয়া জানিয়েছিল ১৬ বছরের এক বন্ধু তাকে ধর্ষণ করেছিল। তাতেই অন্ত্বঃসত্ত্বা হয়ে যায় সে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দারিয়া ও তার সন্তানের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
সন্তানের জন্ম দেওয়ার সোশ্যাল মিডিয়া দারিয়া লিখেছে, প্রথমে সে ভেবেছিল সন্তানের জন্মদেওয়া রীতিমত কঠিন কাজ। তা বেদনা দায়কও।
সন্তানের জন্মের পর তার সেই ধারনা বদলে যায়। সেলিখেছে, এই রকম সুখের জন্য সমস্ত ব্যথা যন্ত্রণা ভোগ করতে রাজি রয়েছে। তবে দারিয়া মোটা হয়ে গেছে বলে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তার লেখায়।
পুরো বিষয়টি নিয়ে ইভানের বাব কিছুটা বিব্রত। তারপরেও দারিয়া দাবি করেছে সন্তানকে বড় করে তুলতে তার দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে তার প্রেমিক ইভান।