- Home
- World News
- International News
- আত্মঘাতী হামলার নেটওয়ার্ক চালাত, সেই জঙ্গিই হল তালিবানর গোয়ান্দা বিভাগের উপপ্রধান, দেখুন
আত্মঘাতী হামলার নেটওয়ার্ক চালাত, সেই জঙ্গিই হল তালিবানর গোয়ান্দা বিভাগের উপপ্রধান, দেখুন
আফগানিস্তানে নতুন তালিবান সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান করা হল তাজ মীর জাওয়াদকে। আর তাতেই চোখ কপালে উঠছে গোটা বিশ্বের গোয়েন্দা বিভাগের। কে এই তাজ মীর জাওয়াদ? সে পরিচিত পাক সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে। তার থেকেও বড় কথা, বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি অনুসারে সে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার নেটওয়ার্ক চালাতো। কাবুলে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলার পিছনে তার আত্মঘাতী বোমা হামলার নেটওয়ার্কটিই রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। অথচ, তাকেই তালিবানের সামরিক কাঠামোর এক গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হল।
| Published : Sep 08 2021, 01:54 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মঙ্গলবার নতুন আফগান সরকার ঘোষণা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোল্লা হাসান আখুন্দ। আর সেই সরকারেই অংশ হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে জাওয়াদেরও। বেশ কয়েকটি দেশের কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্তারা যাকে বলছেন, 'খারাপ খবর'। কারণ, সম্প্রতি কাবুলে কিছু মারাত্মক আত্মঘাতী হামলার জন্য দায়ী সে।
তখন জাওয়াদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, এমনটাই দাবি নাবিলের। জাওয়াদের পাকিস্তানি পাসপোর্ট করিয়ে তাকে শ্রীলঙ্কায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিল আইএসআই। তবে পাকিস্তানের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। শেষে করাচিতে চিকিত্সা করানো হয় জঙ্গি নেতার।
পূর্ববর্তী আফগানিস্তান সরকারের গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ছিলেন রহমতুল্লাহ নাবিল। ২০১৮ সালেই তিনি জানিয়েছিলেন, জাওয়াদ, আল-হামজা শহীদ ব্রিগেড নামে একটি আত্মঘাতী আত্মঘাতী হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে। সে, মৌলভী জবিউল্লাহ নামেও পরিচিত।
শুধু তাই নয়, আরেক তালিবান নেতা দাউদের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে 'কাবুল অ্যাটাক নেটওয়ার্ক'এর নেতৃত্বে ছিল জাওয়াদ। শুধু কাবুল নয়, ওয়ার্ডক, লগর, নাংহারগার, ল্যাগম্যান, কাপিসা, খোস্ট, পাকতিয়া ও পাকতিকা প্রদেশে সক্রিয় ছিল 'কাবুল অ্যাটাক নেটওয়ার্ক'। বছরের পর বছর ধরে কাবুলে বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে তারা। আল কায়েদা, লস্কর-ই-তৈবা, উজবেকিস্তান ইসলামিস্ট মুভমেন্ট, হিজব-ই-ইসলামী গুলবউদ্দিন-এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও 'কাবুল অ্যাটাক নেটওয়ার্ক'-এর অঙ্গুলি হেলনে কাবুলে হামলা চালিয়েছে।
আফগান গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, জাওয়াদ সেই সময় পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে ছিল। সেখান থেকে তিনি তালিবানের কোয়েটা শুরার সদস্য মোল্লা শিরিনের সঙ্গে মিলে জেনারেল রাজিককে হত্যার চক্রান্ত করে। সেই সময়, পাকিস্তানের মীর আলিতে বোমা পরীক্ষা করতে গিয়ে একটি বিস্ফোরণে আহত হয়েছিল জাওয়াদ।
নাবিল আরও জানান, জাওয়াদের পাঠানো আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীই আফগান পুলিশের প্রধান জেনারেল আবদুল রাজিক আচাকজাইকে হত্যা করেছিল। আবদুল রাজিকের দাপটে তালিবানরা একেবারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল। তাদের শক্ত ঘাঁটি কান্দাহারেই তাদের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছিল আফগান পুলিশ বাহিনী।
জিহাদি গোষ্ঠীগুলিকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে 'লং ওয়ার জার্নাল' ওয়েবসাইট। তারা জানিয়েছে ২০১৩ সাল থেকে জাওয়াদ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন সিনিয়র কমান্ডার। অবশ্য হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানিই তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছে। তালিবানদের কাবুল দখলের পিছনেও সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল এই হাক্কানি নেটওয়ার্কেরই। পাকিস্তানেরও ঘনিষ্ঠ এই জঙ্গি গোষ্ঠী।