- Home
- World News
- International News
- ভারতীয় সেনার গোর্খা রেজিমেন্ট এবার টার্গেট, নেপালি বংশোদ্ভূত যোদ্ধাদের আটকাতে চক্রান্ত চিনের
ভারতীয় সেনার গোর্খা রেজিমেন্ট এবার টার্গেট, নেপালি বংশোদ্ভূত যোদ্ধাদের আটকাতে চক্রান্ত চিনের
- FB
- TW
- Linkdin
একের পর এক প্যাঁয়তারায় মত্ত চিন। জানেপ্রাণে তারা অন্যদেশের ভূখণ্ড দখলে মত্ত। লাদাখে প্রবল পরিমাণে প্রত্যাঘাত পেয়ে চিন কার্যত এখন মুখিয়ে উঠেছে, ভারতকে পাল্টা কোনও চালে মাত দিতে। আর সেই নিয়ে গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে গোর্খাদের অন্তর্ভুক্তির ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন ধরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার সেই বিতর্কে ইন্ধন জোগাল চিন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে গোর্খাদের যোগদানের কারণ খুঁজতে সমীক্ষার জন্য কাঠমান্ডুর একটি বেসরকারি সংস্থাকে চিন ১২.৭ লক্ষ নেপালি টাকা দিয়েছে বলে খবর।
কেন নেপালের বংশোদ্ভূত গোর্খারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, তার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণ খতিয়ে দেখতে নেপালের ওই এনজিওটি সমীক্ষা করবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের ওপর সমীক্ষা করতে গত জুন মাসে নেপালে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত হোউ ওয়াংকি নেপালের চায়না স্টাডি সেন্টার (সিএসসি)-কে অর্থ সাহায্য করেছেন।
নেপালিরা কেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন, নেপালের কোন অঞ্চলের লোক ভারতীয় বাহিনীতে যান, বিদেশি বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ তাঁদের হয় কেন এবং ওই এলাকায় এর আর্থসামাজিক প্রভাব কী রকম ইত্যাদি নানা বিষয়ে সমীক্ষা করতে সিএসসিকে এই অর্থসাহায্য করেছে চিনা দূতাবাস।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ৩৯টি ব্যাটালিয়নে মোট ৭টি গোর্খা রেজিমেন্ট আছে, যাতে নিযুক্ত আছেন ২৮ হাজার নেপালি নাগরিক।
প্রাক স্বাধীনতা যুগে ১১টি গোর্খা রেজিমেন্ট ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৪টি রেজিমেন্ট ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলে যায়।
খাস (ছেত্রী), গুরুং, লিম্বু ও রাই, এই চার ধরনের আদিবাসী গোষ্ঠী নিয়ে গোর্খা সম্প্রদায়। ১৯৪৭ সালে ভারত, ব্রিটেন ও নেপালের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে নেপালি গোর্খাদের ভারত ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল।
ভারতীয় সেনায় গোর্খাদের ঐতিহ্য বহু বছরের। গোর্খাদের সাহসের সুনামও রয়েছে। কিছুদিন আগেই সেই গোর্খা সেনা নিয়োগের চুক্তি বাতিল করতে চায় নেপাল। ভারত-ব্রিটেন ও নেপালের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী গোর্খাদের নিয়োগ করা হয় সেনাবাহিনীতে। সেই চুক্তি অপ্রয়োজনীয় বলে দাবি করতে শুরু করে নেপাল।
প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে বৈঠকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ত্রিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পর বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
সম্প্রতি নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপকুমার গাওয়ালি বলেছেন, নেপাল থেকে গোর্খা সৈন্য নিয়োগ নিয়ে ১৯৪৭-এ ব্রিটেন ও ভারতের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির আজ আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। এটা অপ্রযোজনীয় হয়ে পড়েছে। এরপর গোর্খাদের নিয়ে চিনের গবেষণা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির।