- Home
- World News
- International News
- বিশ্বের দ্রুততম স্থলযান, বিমানকেও হার মানাচ্ছে - 'ম্যাগলেভ' পরিষেবা চালু করল চিন, দেখুন
বিশ্বের দ্রুততম স্থলযান, বিমানকেও হার মানাচ্ছে - 'ম্যাগলেভ' পরিষেবা চালু করল চিন, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
ম্যাগলিভ রেল পরিষেবার ট্রেনগুলির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬০০ কিলোমিটার।
উচ্চ গতির ম্যাগলেভ ট্রেনগুলি বৈদ্যুতিন চৌম্বক-শক্তি ব্যবহার করে বলে, ট্রেন এবং ট্র্যাকের মধ্যে কোনও সংযোগ থাকে না, ট্র্য়াকের উপর ট্রেনগুলি লেভিটেট করে বা ভেসে থাকে। তাই চলার সময় ঘর্ষণের বাধাও থাকে না, শুধুমাত্র থাকে বাতাসের প্রতিরোধ।
চিনে এই প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্য একেবারেই নতুন নয়। খুব সীমিত আকারে প্রায় গত প্রায় দুই দশক ধরে সাংহাইয়ের বিমানবন্দর থেকে শহরে একটি ছোট আকারের ম্যাগলেভ লাইন চালু আছে।
চিনে এখনও অবশ্য দুই শহর বা দুই প্রদেশের মধ্যে চলাচলকারী ম্যাগেলেভ পরিবহণ ব্যবস্থা লাইন নেই। তবে ইতিমধ্য়েই সাংহাই ও চেংদু-সহ বেশ কয়েকটি শহরে এই পরিবহণ ব্যবস্থা চালুর কথা চলছে।
এই ট্রেনগুলি নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শব্দদূষণ কম হয়, কম্পন কম হয়, যাত্রী বহনের সক্ষমতা বেশি এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনও কম পড়ে। এটি উচ্চ-গতির ট্রেন, যেগুলি ৩৫০ কিমি / ঘন্টা গতিতে চলে এবং বিমান, যার চলার গতি ঘন্টায় ৮০০ থেকে ৯০০ কিমি - এই দুই পরিবহণ ব্যবস্থার মধ্যে গতির ফাঁরাক ভরাট করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতিতে বিমানের থেকে পিছিয়ে থাকলেও, ১,৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ম্যাগলেভ ট্রেনগুলি কিন্তু বিমানের থেকেও দ্রুতগামী। বেজিং থেকে সাংহাই - এই প্রায় ১০০০ কিমি পথ বিমানে যেতে যেখানে প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে এবং হাই-স্পিড রেলপথে সময় লাগে ৫ ঘন্টা, সেখানে ওই একই পথ ম্যাগলেভ ট্রেনে মাত্র আড়াই ঘন্টায় পৌঁছনো যাবে। আর বিমান যাত্রার জন্য যে প্রস্তুতির সময় লাগে (চেকিং, বোর্ডিং ইত্যাদি), এই ক্ষেত্রে সেটাও লাগবে না।
শুধু চিন নয়, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র - অনেক দেশই এখন ম্যাগলেভ রেলরথের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু, এর উচ্চ ব্যয়ভার এবং বর্তমান রেল পরিকাঠামোর সঙ্গে অসঙ্গতি, এর দ্রুত বিকাশের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, চিন যখন এই পরিবহণ ব্যবস্থা তৈরি করেই ফেলল, বাকি দেশগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।