- Home
- World News
- International News
- চারিদিকে শুধু ধ্বংস আর মৃত্যুর হাহাকার - ছবিতে ছবিতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন
চারিদিকে শুধু ধ্বংস আর মৃত্যুর হাহাকার - ছবিতে ছবিতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন
- FB
- TW
- Linkdin
গত শনিবার, রুশ বিমান হামলায় ইউক্রেনের মার্খালিভকার বহু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরকমই এক বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন সেই বাড়ির মালিক। যতটুকু বাঁচানো যায়।
মার্খালিভকায় রুশ বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দাদের নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এছাড়া কী বা করার আছে?
রুশ আক্রমণের মধ্যে বহু মানুষ এখন বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাতালরেল স্টেশনে। ভূগর্ভস্থ এই আশ্রয়গুলি তাদের বাড়ির থেকে নিরাপদ। সেরকমই এক মহিলা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন পোষ্য বিড়ালটিকেও। বাইরে গোলার আওয়াজে ভীত পোষ্যকে আলিঙ্গন করে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা।
ভারী গোলাবর্ষণ এবং বোমা হামলায় দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমের ইরপিন শহর। সেখানে ভেঙে পড়েছে ব্রিজও। তার উপর দিয়েই অসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিযে যাচ্ছে সেনা।
রুশ সামরিক হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ভ্যাসিল্কিভের এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনটিও। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে দিয়ে এক ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। তীব্র বোমা বর্ষণে পর গোটা এলাকায় এখন শ্মশানের শান্তি রয়েছে।
রুশ রকেট হামলায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত ক্র্যামাটর্স্ক শহরও। সেখানকার এক ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের জানালায় দেখা যাচ্ছে এক অসামরিক ব্যক্তিকে। বহু ভবনেরই এক অবস্থা।
গত ১ মার্চই কিয়েভের ভাসিল্কিভ প্রফেশনাল কলেজের ভবনটি রুশ রকেট আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আগুনে ভবনটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এখন প্রায় ভুতের বাড়ির মতো হয়ে রয়েছে।
ক্রামটর্স্কেরই একটি ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংয়ের বারান্দায় দেখা যাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁডিয়ে রয়েছে ভবনগুলি। যে কোনও সময়ই ভেঙে পড়তে পারে।
ইউক্রেনের খারকিভে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত আঞ্চলিক পুলিশ স্টেশন ভবনের দৃশ্য। দাউ দাউ করে জ্বলছে ভবনটি। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় ব্যস্ত।
দেশ ছেড়ে যেতে পশ্চিম ইউক্রেনীয় শহর লভিভের রেলস্টেশনে এখন থিকথিক করছে মানুষ। সকলেই যে যতটুকু পেরেছেন নিয়ে ঘর ছেড়ে পারি দিয়েছেন লভিভে। এখান থেকেই পোল্যান্ডে যাওয়া যাচ্ছে।
পশ্চিম ইউক্রেনীয় শহর লভিভের রেলওয়ে স্টেশনে থেকে যে ট্রেনগুলি ছাড়ছে, তাতে উপচে পড়ছে পালিয়ে আসা মানুষের ভিড়। সকলেই দেশ ছেড়ে যেতে চান। এমনকী তার জন্য ১০-১৫ ঘন্টা দাঁড়িয়েও যেতে হচ্ছে।
ইউক্রেনের ইরপিন শহরকে তীব্র রুশ সামরিক হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। বহু মানুষের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহতদের কিয়েভ শহরে নিয়ে আসা হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।
রুশ আক্রমণ থেকে বাঁচতে ইউক্রেনীয়-পোলিশ সীমান্ত অতিক্রম করে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডের মেডিকাতে। সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলির কাছে একটা লাল চাদরই যেন অনেকটা উষ্ণতা।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে, খারকিভ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আসা বহু মানুষকে বিনামূল্যে থাকতে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ্য শরণার্থী বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গিয়েছেন।
খারকিভ থেকে দলে দলে অসামরিক নাগরিকরা পালিয়ে গিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। ডিনিপ্রো'তে এক শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। সেখানে তাদের পর্যাপ্ত খাবার ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।