- Home
- World News
- International News
- কাঠমাণ্ডুতে বেজিংয়ের টোপ হোউ ওয়াংকি, এই সুন্দরীর উস্কানিতেই বেসুরো গাইছে ভারত বন্ধু নেপাল
কাঠমাণ্ডুতে বেজিংয়ের টোপ হোউ ওয়াংকি, এই সুন্দরীর উস্কানিতেই বেসুরো গাইছে ভারত বন্ধু নেপাল
- FB
- TW
- Linkdin
কয়েকদিন আগে ভারতের লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের বলে দাবি করে নেপাল। নেপালের সংসদেও পাস হয় সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব। সূত্রের খবর, এই বিতর্কিত মানচিত্র বিলটি সংসদে পাঠানোর পিছনেও সক্রিয় ছিলেন চিনের রাষ্ট্রদূত হোউ ওয়াংকি।
কিন্তু, ভিন দেশের এক রাষ্ট্রদূত হঠাৎ নেপালে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন কী করে? অনেকে বলছেন, কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওয় দেখা গেছে, একটি অনুষ্ঠানে নেপালের গয়না এবং লেহেঙ্গা চোলি পরে, লোকসঙ্গীতের তালে নাচতে দেখা যায় চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়ানকিকে। তাঁর নাচে মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিও।
সূত্রের খবর, এরপর থেকেই ওলির ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েন চিনা রাষ্ট্রদূত। কয়েকদিন আগে নেপালে যখন সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, তখন তা মেটাতে আসরে নেমে পড়েন ওয়াংকি।
এই ওয়াংকি এখন নেপালকে চিনের দিকে টেনে তাদের ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ নিতে উস্কানি দিচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
কেন নেপালের বংশোদ্ভূত গোর্খারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তার কারণ খুঁজতে সমীক্ষা চালাচ্ছে বেজিং। তার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণ খতিয়ে দেখতে নেপালের একটি এনজিওটি সমীক্ষা করছে বলে জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের ওপর সমীক্ষা করতে গত জুন মাসে নেপালে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত হোউ ওয়াংকি নেপালের চায়না স্টাডি সেন্টার (সিএসসি)-কে অর্থ সাহায্য করেছেন।
নেপালি সেনা কর্তা থেকে সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী ওলি, সবার দফতরেই অবাধ যাতায়াত চিনা রাষ্ট্রদূত ওয়াংকির। নেপালের যে কোনও জায়গাতেই আনাগোনা এই 'সুন্দরী' কূটনীতিকের।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী তাঁকে বিশেষ নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। এখানেই শেষ নয়, নেপালের পর্যটনমন্ত্রী আবার তাঁর জন্য বিশেষ আউটডোর ফটোশুটেরও বন্দোবস্ত করে দেন।
শুধু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নয়, হোউ ওয়াংকির সুসম্পর্ক আছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল প্রচণ্ডর সঙ্গেও।
নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল পূর্ণ থাপার সঙ্গেও চিনা রাষ্ট্রদূতের সম্পর্ক বেশ ভালই। গত মে মাসে কাঠমাণ্ডুতে পিপলস লিবারেশন পার্টির এক অনুষ্ঠানে ওয়াংকি সভাপতিত্ব করেন, সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন পূর্ণ থাপা।
শুধু নেপালেই নয়, এই চিনা রাষ্ট্রদূতের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সেখানে ওয়াংকির বেশ কিছু ছবি রয়েছে যা এক্কেবারে পেশাদার মডেলের মতোই। নেপালের দর্শনীয় স্থানগুলিতে তাঁর ছবি বেশ নজর কেড়ে নেয় অনেকেরই।
হোউ-এর জন্ম ১৯৭০ সালে, চিনের শাংজি প্রদেশে। কলা বিভাগে স্নাতক হোউ অতীতে চিনের বিদেশমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ অবধি তিনি পাকিস্তানের চিন দূতাবাসের উচ্চপদস্থ পদে ছিলেন।
শুধু এশীয় দেশগুলিতেই নয়। এক সন্তানের মা হোউ-এর আগে লস অ্যাঞ্জেলসের কনসাল জেনারেলেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। গত দু’বছর ধরে তাঁর কাজের জায়গা নেপাল।