- Home
- World News
- International News
- অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই কি বিস্ফোরণ, ঘটনার পর ভূমিকম্প, ছবিতে বেইরুটের ধ্বংসলীলা
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই কি বিস্ফোরণ, ঘটনার পর ভূমিকম্প, ছবিতে বেইরুটের ধ্বংসলীলা
ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এখন আতঙ্কে বেইরুট। এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ কোনও জঙ্গি সংযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের যোগের কথাকে নিশ্চিত করা হয়নি। লেবানন সরকারের একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, বন্দর এলাকায় গুদামে মজুত দাহ্য পদার্থ থেকেই বিস্ফোরণ। কিন্তু, সেই দাহ্য পদার্থ কী ধরনের- তা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে, সরকারের আর একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে যে বিস্ফোরণের পিছনে মজুত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। কয়েক বছর আগে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট একটি জাহাজ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
- FB
- TW
- Linkdin
বিস্ফোরণের পর বেইরুটের বন্দর এলাকা। ছবিটি অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে নেওয়া। এই ছবিটি প্রথম বিস্ফোরণের পর, এর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণের পর আহত এক ব্যক্তি, হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাচ্ছেন। রক্তাক্ত শরীর। মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। ফার্স্ট এইডের পর তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
বিস্ফোরণের পর এভাবেই গাড়িতে এই মহিলাকে এইভাবে পাওয়া যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। সেই ছিটকে আসা কাঁচে গুরুতর জখম হন এই মহিলা।
বিস্ফোরণে জখম একজনকে সাহায্য করছেন অন্যজন। লেবানান সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বেইরুটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার মাত্রা ছিল ৩.৩।
বিস্ফোরণের পর ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ। হাসপাতালের বাইরে ফার্স্ট-এইডের জন্য অপেক্ষারত এক ব্রিটিশ বৃদ্ধা। যার কপাল দিয়ে সমানে রক্ত বয়ে চলেছে। কোনও মতে রুমাল দিয়ে তা সামলানোর চেষ্টা করছেন। বৃদ্ধার সঙ্গে তাঁর লেবানিজ মেয়ে মেয়ে এবং নাতনি। এঁদের সকলের মুখেই এক ভয়াবহ আতঙ্ক।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক জখমকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এক নিরাপত্তারক্ষী। লেবানান সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৪০০০। তবে, বেসরকারি সূত্রে দাবি, মৃতের সংখ্যা এর থেকেও বেশি। এমনকী বিস্ফোরণের পর থেকে অসংখ্য মানুষের খোঁজ মিলছে না। বিস্ফোরণের সময় এই নিখোঁজ ঘটনাস্থলের খুব কাছেই ছিলেন।
বিস্ফোরণের পর হেঁটে বেইরুটের বন্দর এলাকা ছাড়ছেন এই ব্যক্তি। বিস্ফোরণের আঘাতে তিনি তখন ক্ষতবিক্ষত। রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর। বেইরুটের ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে, সন্দেহ করা হচ্ছে বন্দর এলাকায় মজুত থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এই বিস্ফোরণ।
দেহে তখনও প্রাণ রয়েছে। দ্রুত এই গুরুতর জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান জানিয়েছেন, হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে আতঙ্কিত মানুষ এখন তাঁর নিখোঁজ প্রিয়জনদের খোঁজ পেতে ভিড় করছেন। এই সব মানুষকে সাহায্য করা জন্য হেল্পলাইনও খোলা হয়েছে।
বিস্ফোরণের বেইরুটের আরেকপ্রান্ত থেকে। এইভাবেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। লেবাননের সরকারি সংবাদসংস্থা এনএনএ দাবি করেছে, প্রথমে বন্দর এলাকায় একটি গুদামঘরে আগুন লাগে। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। তবে এই গুদামঘরে কী ধরনের দাহ্য পদার্থ মজুত করা ছিল তা নিশ্চিত করেনি এই সংবাদ সংস্থা।
ভারতীয় সাংবাদিক আঁচল ভোরা বেইরুটে পোস্টেড। বিস্ফোরণের পর নিজের এবং বাড়ির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন আঁচল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে আঁচলের মুখে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন এবং ত্রস্তবিধ্বস্ত হয়ে পড়ে রয়েছে আঁচলের ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র ও সিলিং। আঁচল জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে কেউ যেন তাঁর ফ্ল্যাটে বোমা মেরেছে।